১৮ বছরে শত কোটি টাকা আদায়

প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এএইচএম আরিফ, কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়ায় ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু থেকে ১৮ বছরে প্রায় শত কোটি টাকার টোল আদায় হয়েছে। কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালির গড়াই নদীর ওপর অবস্থিত সৈয়দ মাছ-উদ রুমী সেতু থেকে কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে গত ১৮ বছর ধরে জনসাধারণের পারাপার থেকে চলছে এ টোল আদায়। সাইকেল রিকশা ও ভ্যানের টোল আদায় নিয়ে ভোগান্তি নিরসনের কাঙ্ক্ষিত সেতুই এখন জনসাধারণের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কুষ্টিয়ার ৪ উপজেলাসহ ২ জেলার জনসাধারণের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই সেতুটি। এতে সৃষ্টি হয়েছে জনমনে চরম অসন্তোষ।

জানা যায়, ২০০৪ সালে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়, কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালির গড়াই নদীর উপর সৈয়দ মাছ-উদ রুমী সেতুটি। ২০০৫ সাল থেকে এই সেতু ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ইজারাদারের মাধ্যমে টোল আদায় করে আসছে কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগ। নির্মাণ ব্যয়ের কয়েক গুণ টাকা এরই মধ্যে আদায় হলেও এখনও বন্ধ হয়নি টোল আদায়। এই সেতুর টোল আদায়কে কেন্দ্র করে মাঝে-মধ্যেই ইজারারদের লোকজনের সঙ্গে জনসাধারণের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটে এবং ইজারাদারের লোকজনের ব্যবহার অনেক খারাপ। মাত্র ৫০০ মিটারের এই সেতুতে দুই পাড়ের মানুষের যাতায়াতে প্রতিদিন গুনতে হয় প্রায় ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। ফলে ভোগান্তি নিরসনের কাঙ্ক্ষিত সেতুই এখন জনসাধারণের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ইজারা থেকে সৈয়দ’মাছ-উদ রুমী সেতুর ৬ বছরের আয় সড়ক বিভাগের সাল ইজারা (টাকা) ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ৫ কোটি ২৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ২০১৯-২০২১ অর্থবছরে ১৪ কোটি ৫০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা, ২০২১-২০২৪ অর্থবছরে ২৫ কোটি ৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খান বলেন, টোল আদায় কবে বন্ধ হবে তা নির্ভর করছে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের উপর। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলে বন্ধ করা হবে টোল আদায়। অবিলম্বে এই সেতুর টোল আদায় বন্ধ হবে এবং নিরসন হবে তাদের ভোগান্তি। এমনটাই প্রত্যাশা এ অঞ্চলের জনসাধারণের।