এলেঙ্গা হাটবাজার

ইজারা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশ : ২৪ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রঞ্জন কৃষ্ণ পণ্ডিত, টাঙ্গাইল

টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পৌরসভাধীন এলেঙ্গা হাটবাজারের ইজারা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে উঠেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের নিকট অভিযোগ করেছেন হাটের ইজারাদার মুক্তার আলী।

জানা যায়, গত ২ মার্চ এলেঙ্গা পৌরসভা এলেন/পৌর/প্রবি/হাট-ইজারা/২০২৩/৭৭২ নং স্মারকে হাট-বাজার ইজারা দরপত্র বিজ্ঞপ্তি (০১/২০২২/২৩) আহ্বান করে। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে গত ২০ মার্চ বেলা ২টা পর্যন্ত দরপত্র জমার শেষ সময় ও বিকাল ৩টায় জমাকৃত দরপত্রের বাক্স খোলার সময় নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে বিকাল ৪টার পরে ওই দরপত্র বাক্স খোলা হয়। বর্তমান ইজারাদার মুক্তার আলী ৪৫ লাখ ৫০০ টাকা পে অর্ডার কেটে যথাসময়ে দরপত্র জমা দেন। অন্যদিকে মাজেদুর রহমান ও রেজাউল করিম নামে যিনি হাটের ইজারা পেয়েছেন তিনি নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা পর ব্যাংক পে-অর্ডার করে অদৃশ্য ক্ষমতাবলে দরপত্রটি জমা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বর্তমান ইজারাদার মুক্তার আলী বলেন, এলেঙ্গা হাটবাজারের দরপত্র আহ্বানের পর শর্তানুসারে আমি দরপত্র পূরণ-পূর্বক ৪৫ লাখ ৫০০ টাকার পে-অর্ডার দিয়ে বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও নির্ধারিত সময়ের আগেই দরপত্রটি জমা দেন। কিন্তু যিনি হাটের ইজারা পেয়েছেন তিনি নির্ধারিত সময়ের প্রায় ২ ঘণ্টা পরে ৪৫ লাখ ৫ হাজার টাকার পে-অর্ডারসহ দরপত্র জমা দিয়ে রহস্যজনক কারণে কার্যাদেশ পেয়েছেন।

এলেঙ্গা পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু আহম্মেদ আব্দুল্লাহ্ জানান, পৌর মেয়র আসতে দেরি করায় ৪টার দিকে দরপত্র খোলা হয়েছে। অনিয়মের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এলেঙ্গা পৌরসভার মেয়র নূর-এ-আলম সিদ্দিকী জানান, ডিসি অফিসে কর্মব্যস্ত থাকায় তিনি পৌরসভায় আসতে দেরি করেছেন। উপস্থিতদের সম্মতিক্রমে দেরিতে দরপত্র খুলে সর্বোচ্চ দরদাতাকে হাটবাজারের ইজারা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অভিযোগের বিষয়টি তার জানা নেই। একই পে-অর্ডারে দুই ব্যক্তির নাম ব্যবহারে দরপত্রের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।