পোকা শনাক্তে আলোর ফাঁদ স্থাপন!

প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এসএম তফিজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জে মৌসুমি ইরি বোরো ধানক্ষেতে আলোর ফাঁদ স্থাপন করা হচ্ছে। ধানক্ষেতের উপকারী ও ক্ষতিকর পোকা শনাক্তকরণ ও দমনে এ ফাঁদ স্থাপন করছে কৃষি বিভাগ। এ চাষাবাদে এবার বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষক। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ৯ উপজেলায় এবার ১ লাখ ৪১ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে ইরি বোরো চাষাবাদ হয়েছে। এরই মধ্যেই ধানক্ষেতে সমারোহ শুরু হয়েছে। তবে প্রতি বছর এ ধানক্ষেতে বিভিন্ন ধরনের পোকার আক্রমণে ফসলের ক্ষতি হয়ে থাকে। বিশেষ করে উপকারী ও ক্ষতিকারক পোকা থাকলেও কৃষকরা না জেনে এ পোকা দমনে কীটনাশক ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করে। এতে ক্ষতিকর পোকার সঙ্গে অনেক উপকারী পোকাও মারা যায়। এতে এ মৌসুমি ধান উৎপাদনে প্রভাব পড়ে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট উপজেলা কৃষি বিভাগ বিভিন্ন মাঠে ক্ষতিকারক পোকা শনাক্তকরণ ও উপস্থিতি পরীক্ষার জন্য জেলায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার আলোর ফাঁদ স্থাপনের কাজ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে প্রায় ২ হাজার আলোর ফাঁদ স্থাপন করা হয়েছে। ধানক্ষেতের প্রায় ২শ মিটার দূরে ধান গাছ থেকেও প্রায় ২/৩ ফিট উঁচুতে এ আলোর ফাঁদ স্থাপন করা হচ্ছে। বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে লাইট, ব্যাটারি দিয়ে তৈরি ফাঁদের নিচে বালতি ও গামলা স্থাপন করা হয়। এ পাত্রের ভেতরে রাখা হয় সাবান পানির মিশ্রণ। রাতে প্রায় ১ ঘন্টা এ আলোর ফাঁদ জ্বালানো হয়। এতে আকৃষ্ট হয়ে মাঠের পোকা-মাকড় উড়ে এসে সেই ফাঁদে পড়ে মারা যাবে। সংশ্লিষ্ট কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে গিয়ে সেই ফাঁদে পড়া পোকা-মাকড় পরীক্ষা করে দেখছেন। এতে ক্ষতিকারক পোকা দমনসহ বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষি বিভাগ। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা আলোকিত বাংলাদেশকে বলেন, চলতি ইরি-বোরো মৌসুমের শুরুতেই নিজেদের অর্থায়নে জেলার ৯টি উপজেলার জন্য প্রায় সাড়ে ৩ হাজার আলোর ফাঁদ স্থাপন করা হচ্ছে। প্রতি সপ্তাহের একদিন করে কৃষি কর্মকর্তারা বিভিন্ন মাঠে গিয়ে ফাঁদে পড়া পোকা শনাক্ত করেন এবং কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহারে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন। এ বিশেষ প্রযুক্তিতে পোকা দমন অব্যাহত থাকায় এবার বাম্পার ফলনের আশা করা যাচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।