নাটোরের সিংড়ায় একজন সফল নারী ইয়াসমিন আকতার। তিনি সিংড়া পৌর এলাকার ২ নং ওয়ার্ডের উত্তর দমদমা গ্রামের বাসিন্দা। সখের বসে শুরু করেছিলেন গরু পালন। এখন সখ থেকে স্বাবলম্বী। নারীরা শুধু সংসারের দৈনন্দিন কাজের মধ্যেই নয়, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির জন্য ভূমিকা রাখতে পারে তারই উদাহরণ ইয়াসমিন। ইয়াছমিন আকতার স্বপ্না, একজন সফল ডেইরি এন্ড এগ্রো খামারি। শুধু খামারিই নয় পাশাপাশি একজন ফ্রিল্যান্সার। দিনে সংসারের কাজ, খামার দেখাশোনা, বাচ্চাকে স্কুলে নিয়ে আসা-যাওয়া পরে রাতে ফ্রিলান্সার হিসেবে কাজ করেন ইয়াসমিন। ডিজিটাল মার্কেটিং, ভিডিও এডিটিং, ওয়েব ডিজাইনার হিসেবে দক্ষতা অর্জন করেছেন তিনি। এছাড়া ঘাস চাষে একজন সফল কৃষক সে। ইয়াসমিন আকতার জানান, হাইড্রোপনিক ঘাস শুরু করেছি এক বছর আগে। বর্ষার সময় এই ঘাস সবচেয়ে বেশি উপযোগী। তাছাড়া খরচও কম। এই ঘাস চাষ করে নিজেদের চাহিদাও মেটানোর পাশাপাশি বাইরে বিক্রিও করা হয়। তিনি আরো বলেন, ২০১৬ সালের শেষে শখের বসে একটা গাভী দিয়ে খামারের যাত্রা শুরু করি। আল্লাহর রহমতে আমার আর পেছনে তাকানো লাগেনি। নিজের কঠোর পরিশ্রম দিয়ে শখ থেকে করা খামার এখন বাণিজ্যিক রূপ নিয়েছে। এখন আমার খামারে ১১টা গরু আছে। ৪টি গাভি দুধ দেয়, প্রতিদিন ৪০-৫০ কেজি দুধ বিক্রি হয়। মাসে এ খাতে ৩০ হাজার টাকা ইনকাম হয়। ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে ১০/১৫ হাজার আয় হয়। আমার ইনকাম বছরে প্রায় ৭ থেকে ৮ লাখ। ইচ্ছা আছে অনেক বড় খামার করার। সাংসারিক জীবনে ইয়াসমিন আকতার এক কন্যাসন্তানের জননী। মেয়ে জেনি, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুলের মেধাবী ছাত্রী।