১০ লাখ টাকা বাকি দিয়ে নিঃস্ব

ক্যাম্পাস ছাড়লেন ডাইনিং পরিচালক

প্রকাশ : ২৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলমগীর হোসেন, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়

গত ৩ বছর ধরে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা হলের ডাইনিং পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন তারা মিয়া। হল ডাইনিং পরিচালনা করে প্রায় ১০ লাখ টাকা বাকি খাইয়ে নিঃস্ব হয়েছেন তিনি। এবারে ‘নেতাদের চাপে’ হল থেকে ব্যবসা গুটিয়ে চলেও যেতে হয়েছে তাকে। তারা মিয়া বলেন, ২ কাঠা জমি বিক্রি করে ডাইনিং পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিলাম। কিন্তু শিক্ষার্থীদের বাকি খাইয়ে আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম। হল প্রভোস্ট আমাকে ডাইনিংয়ে রাখতে চেয়েছিল; কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের চাপে আমাকে ডাইনিং ছাড়তে হলো। আমি জমিও হারালাম, ডাইনিংও হারালাম। তিনি আরও বলেন, একেকজন সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বাকি খেয়েছে। যারা বাকি খেয়েছে তাদের মধ্যে সাধারণ শিক্ষার্থীও আছে। তবে অনেক রাজনৈতিক নেতা এবং অনেকে নেতার নাম ভাঙিয়ে বাকি খেয়েছেন।

নেতাদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন তো নেতা দুইজনই। ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু আর সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব। এ দুইজনের নাম ভাঙিয়েই আমার এত টাকা বাকি খেয়েছে।

সভাপতি বলেন, প্রথমে সে আমাকে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা বাকির কথা বলেছে। এখন শুনতে পারছি বাকি প্রায় ২০ লাখ। যেটি আমার কাছে মিথ্যাচার মনে হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, তার কাছে বাকির তালিকা চেয়েছিলাম, কিন্তু সে দেয়নি। তালিকা দেখালে আমার নাম ভাঙিয়ে যারা বাকি খেয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নেব। সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা মিয়া চুক্তি ছাড়া হল প্রশাসনের সঙ্গে ব্যবসা করেছে। এখন এই ঝামেলা তার এবং হল প্রশাসনের মধ্যকারের বিষয়। তারা মিয়াকে বলেছি, যারা বাকি খেয়েছে তাদের নাম দিলে আমরা টাকা তুলতে তাকে আরও সহায়তা করব। লোক-প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সাজেদুল ইসলাম বলেন, তারা ভাই অগ্নিবীণা হল ডাইনিংয়ের পরিচালক, তিনি একজন অসহায় মানুষ, তার বাকি টাকাগুলো নৈতিক মূল্যবোধ থেকে দিতে হবে।

অগ্নিবীণা হলের প্রভোস্ট কল্যানাংশু নাহা বলেন, তারা মিয়ার কাছে যারা খেয়েছে, কৃতজ্ঞতার জায়গা থেকে হলেও তার বাকিটা পরিশোধ করে দেয়া হোক।