ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভাঙনের মুখে গাবুরার প্রকল্প

ভাঙনের মুখে গাবুরার প্রকল্প

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন উপকূলবর্তী দ্বীপ ইউনিয়ন গাবুরা ৯নং সোরা গ্রামে গত রোববার খোলপেটুয়া নদীর ভয়াবহ নদীভাঙনে মারাত্মক ঝুঁঁকির মুখে পড়েছে হাজারো পরিবার। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, পানীয় জলের সংকট নিরসনে ২০০৩ সালের আগে সরকারি অর্থায়নে গাবুরার সোরায় তৈরি করা হয় দৃষ্টিনন্দন প্রকল্প। সোরার দক্ষিণাংশে খোলপেটুয়া নদীর ২০০ মিটার বেড়িবাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। নদীর ঢেউ আছড়ে পড়ায় বাঁধ ক্রমশ চিকন হতে শুরু করে। ফলে ওই এলাকার হাজারো গ্রামবাসী ভাঙন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। তিনি আরো জানান, ২০০৯ সালের ২৫ মে আইলায় গাবুরাসহ শ্যামনগরের দক্ষিণাঞ্চল প্লাবিত হয়। এরপরও অক্ষত ছিল দৃষ্টিনন্দন প্রকল্প। কিন্তু গত রোববার ভোরে খোলপোটুয়া নদীর সোরা দক্ষিণাংশে ভয়াবহ নদীভাঙন শুরু হয়। ফলে মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে দৃষ্টিনন্দন প্রকল্প। এতে ২০০৩ সালে নির্মিত প্রকল্পটি বিলিন হয়ে যেতে পারে যে কোনো সময়। গত ২০১৯ সাল থেকে কয়েক বার নদীভাঙন হলেও সরকারিভাবে বাঁধ নির্মাণ সহায়তা দেয়া হয়নি। জরুরি বাঁধ নির্মাণে বড় ধরনের সহায়তা না পেলে গাবুরাবাসীকে বিপদের হাত থেকে বাঁচানো যাবে না। সরেজমিন গত রোববার বিকালে সোরা গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, খোলপেটুয়া নদীর অববাহিকায় অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন প্রকল্প। প্রকল্পের সীমানা রাস্তার ভেতরে তিন দিকে খাল, ফসলি জমি, শতাধিক নারিকেল গাছসহ নানা জাতের ফলদ ও বনজ বৃক্ষ, গাবুরার বৃহত্তম খাবার পানির পুকুর, সাইক্লোন শেল্টার কাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জামে মসজিদ, হাফিজিয়া মাদ্রাসা, মহিলা হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও সরকারি কবরস্থান রয়েছে। ২০০৩ সালে দৃষ্টিনন্দন ইকোপার্কের আদলে সরকারিভাবে নদীর চরে তৈরি করা হয় এই স্থাপনা। গ্রামের মানুষের সবচেয়ে বড় সমস্যা খাবার পানির কষ্ট মেটাতে জনদাবির মুখে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা তৈরি হয়। ২০০৯ সালে গাবুরা প্লাবিত হলেও দৃষ্টিনন্দন অক্ষত থাকে। কয়েক হাজার পরিবার এখান থেকে খাবার পানি হিসেবে পুকুরের পানি পান করে তাদের জীবন বাঁচায়। গাবুরা ইউপি সদস্য মঞ্জুর হোসেন ও গ্রামবাসি মোহাম্মদ কবীর হোসেন জানান, এই মুহূর্তে ভাঙন প্রতিরোধ করা না গেলে প্লাবিত হতে পারে প্রকল্পের ভেতর সব প্রতিষ্ঠান ও গাবুরার সবচেয়ে বড় সুপেয় পানির আঁধারটি। বেড়ি বাঁধ দীর্ঘবছর সংস্কার না হওয়ায় নিচু হয়ে যাওয়ার কারণে দৃষ্টিনন্দনের রাস্তা প্লাবিত হলে সমগ্র গাবুরা প্লাবিত হতে পারে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত