পদ্মা নদীতে বিশাল চর

নৌপথে যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ

প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কাজী বাবলা, পাবনা

পাবনায় পদ্মা নদীর দু’পাড়ে বিশাল বিশাল চর জেগে উঠেছে। ফলে পাবনার সাতবাড়ীয়া এবং রাজবাড়ী জেলার হাবাসপুর নৌপথে খেয়া নৌকার যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে যাত্রী কম হওয়ায় মাঝিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এদিকে নদী গতিপথ পরিবর্তন করায় নদীর নাব্য বৃদ্ধি করতে ড্রেজিংয়েও সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। সরেজমিন দেখা গেছে, সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাকায় পদ্মা নদীতে মাত্র ১ কিলোমিটার পানি রয়েছে। আর সে কারণে ওই নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীদের নদীর দীর্ঘ ৫ কিলোমিটার চর হেঁটে এবং মাত্র ১ কিলোমিটার পদ্মা নদী খেয়া নৌকায় পার হয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। পার্শ্ববর্তী খয়রান গ্রামের ভুক্তভোগী যাত্রী সুলতান খন্দকার জানান, নদীর দুইপাড়ের ধুধু বালু চর, হেঁটে নদী পার হয়ে গন্তব্যে পৌঁছা অত্যন্ত কষ্টকর। বিশেষ করে মহিলা যাত্রীদের পক্ষে বেশি কষ্ট হয়। তবে যেসব যাত্রীদের স্বচ্ছলতা আছে, তারা না হেঁটে ঘোড়ার গাড়িতে ওই চর পারি দিয়ে গন্তব্যে যেতে পারছেন। নদী পারাপারে অপর এক ভুক্তভোগী যাত্রী সুজনগর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মোটরসাইকেল নিয়ে খেয়া নৌকায় নদী পার হওয়া যাত্রীদের কষ্ট সবচেয়ে বেশি। কেননা, চরের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালানো হাঁটার চেয়েও বেশি বেগ পেতে হয়।

খেয়া নৌকার মাঝি শ্যাম কুমার দাস বলেন, পদ্মা নদীর বেশিরভাগ অংশে চর জেগে ওঠায় আমরা সুবিধা মতো জায়গায় ঘাট স্থাপন করতে পারছি না। এতে যাত্রীদের নৌকায় উঠাতে-নামাতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। এ কারণে এই নৌপথে যাত্রী কম হচ্ছে। ফলে খেয়া নৌকার মাঝিরা আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। ভুক্তভোগী যাত্রী এবং খেয়া নৌকার মাঝিরা চর জেগে ওঠার হাত থেকে নদীকে রক্ষা করতে বর্ষা মৌসুমের আগেই নদী ড্রেজিং করে নাব্য বৃদ্ধির আহ্বান জানান। সাতবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন জানান, সাতবাড়ীয়া এবং হাবাসপুর নৌপথের দূরত্ব মাত্র ৬ কিলোমিটার। চলতি মৌসুমে পদ্মা নদীর পানি শুকিয়ে ওই নৌপথের হাবাসপুর এলাকায় ৪ কিলোমিটার এবং সাতবাড়ীয়া এলাকায় এক কিলোমিটার চর জেগে উঠেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।