ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ফাঁদ পেতে চলছে হরিণ শিকার

ফাঁদ পেতে চলছে হরিণ শিকার

প্রতিনিয়ত সুন্দরবনে ফাঁদ পেতে অসংখ্য চোরা শিকারির দল নির্বিচারে হরিণ শিকার চালিয়ে যাচ্ছে। এদের রুখতে বন বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হিমশিম খাচ্ছে। পূর্ব ও পশ্চিম সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকা থেকে পাচার হওয়া হরিণের মাংস আটক হওয়ায় বন বিভাগ নড়েচড়ে বসেছে। ঊর্ধ্বতন বন কর্মকর্তারা সুন্দরবনের ১৬টি ফরেস্ট স্টেশন ও ৬৭টি টহল ফাঁড়িতে কর্মরত বনরক্ষীদের নিয়ে চোরা শিকারিদের দমন করতে বিভিন্ন কৌশল হাতে নিয়েছেন। প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে গহিন বনের ভেতর দিনরাত টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।

সম্প্রতি সুন্দরবনে উদ্বেগজনকহারে হরিণ শিকার বেড়ে যাওয়ায় খুলনা, সাতক্ষীরা, চাঁদপাই, শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তারা ফরেস্ট স্টেশন কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা করে বনাঞ্চল সংলগ্ন গ্রাম, হাট-বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সতকর্তামূলক সভা-সমাবেশ শুরু করেছে। কয়রার জোড়শিং, খাসিটানা, আংটিহারা, গোলখালি, পাতাখালি, পাথরখালি, ৬নং কয়রা, ৪নং কয়রা, মঠবাড়ি, হায়াতখালি, হড্ডা, খেখেরকোনা, পাইকগাছার গড়ুইখালি, আমিরপুর, দাকোপের সুতারখালি, কালাবাগি, সাতক্ষীরার গাবুরা, মুন্সিগঞ্জ, হরিনগর, কৈখালি, কদমতলা, মংলার দ্বিগরাজ, জয়মনি, বানিশান্তা, চাঁদপাই সহ অন্যত্র এলাকা দিয়ে প্রায় সময় হরিণের মাংস পাচার হচ্ছে। বনবিভাগ গত ৩ মাসে ২৭ জনকে হাতেনাতে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। কয়েকদিন আগে আংটিহারা কোস্টগার্ড বেড়িবাঁধের ওপর থেকে ৮২ কেজি হরিণের মাংস আটক করে। এর কয়েকদিন আগে কয়রার দেউলিয়া বাজারের মৎস্য আড়তের সামনে থেকে পুলিশ কসসেট ভর্তি ৪৪ কেজি হরিণের মাংস আটক করে এবং জড়িত তিনজনকে পাকড়াও করে আদালতে সোপর্দ করে। জানা গেছে, কয়রা এলাকার ৩০টির বেশি হরিণ শিকারিচক্র মাছ ও কাঁকড়ার পারমিট নিয়ে সঙ্গে বান্ডিল বান্ডিল বরফ নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে ফাঁদ পেতে হরিণ শিকার করে মণ মণ মাংস কসকেটে ঢুকিয়ে কসকেটের ওপরে কিছু মাছ দিয়ে রাতের অন্ধকারে লোকালয়ে নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বেচাবিক্রি করে আর্থিক ফায়দা লুটে নিচ্ছে।

এ ব্যাপারে পশ্চিম সুন্দরবন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মো. মহসিন হোসেন বলেন, হরিণ শিকারিদের রুখতে বন বিভাগের লোকজন সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত