ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ছাড়পত্র ছাড়াই প্লাস্টিক উৎপাদন

ছাড়পত্র ছাড়াই প্লাস্টিক উৎপাদন

বগুড়ার আদমদীঘিতে কোনো ছাড়পত্র ছাড়াই অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে প্লাস্টিক ও পলিথিন রিসাইক্লিং (পুনর্ব্যবহারের উপযোগী করে পণ্য তৈরি) কারখানা। উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের হবীর মোড় এলাকায় গড়ে উঠা এই কারখানাটি শিশু-কিশোর শ্রমিক দিয়ে চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, বগুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কে পৌর শহরের হবীর মোড় এলাকায় সড়ক ঘেঁষে জিএস প্লাষ্টিক কারখানা গড়ে উঠেছে। সেখানে রিসাইক্লিংয়ের জন্য রোদে সুকাতে দেয়া পলিথিনগুলো কয়েকজন শ্রমিক মিলে বাছাই করছেন। সামান্য বাতাস হলেই এসব পলিথিনগুলো উড়ে যাচ্ছে পাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি ও সড়কে। ফলে নষ্ট হচ্ছে আশপাশের পরিবেশ।

সম্পতি সান্তাহার পৌর শহরের লকোপশ্চিম কলোনীর সোলায়মান সরদারের চাতাল ভাড়া নিয়ে গোপীনাথ সরকার নামে এক ব্যবসায়ী তার স্ত্রী উজ্জ্বলা রাণী সরকারের নামে শুধুমাত্র পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স এবং ফায়ার সার্ভিসের একটি ছাড়পত্র নিয়ে অবৈধভাবে কারখানাটি চালু করেন। প্রথম দিকে কারখানাটিতে শিশু শ্রমিক ব্যবহার করলেও বর্তমানে কয়েকজন কিশোর এই কাজে যুক্ত রয়েছেন। এদিকে ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র থাকলেও কারখানায় কোনো অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র রাখা হয়নি।

স্থানিয়রা জানান, কারখানার পরিবেশের ছাড়পত্র নেই। নেই কোনো উৎপাদনগত ছাড়পত্রও। কারখানা মালিক সম্পদশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করতে সাহস পায় না। পরিবেশবাদী সংগঠন ‘সবুজ আন্দোলন ছাত্র পরিষদ’ এর কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক নেহাল আহম্মেদ প্রান্ত জানান, সরকারি বিধিনিষেধ না মেনেই গড়ে উঠা কারখানাটিতে প্লাস্টিক ও পলিথিন বাজারজাত হওয়ায় সেখানকার পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে। তাই জনস্বার্থে অবৈধ কারখানাটি বন্ধের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন বলে মনে করি।

আদমদীঘি ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনের ইনচার্জ রুহুল আমীন জানান, ওই প্রতিষ্ঠানকে ফায়ার লাইসেন্স দেয়া হয়েছে ঠিকই কিন্তু সেই সঙ্গে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করার নির্দেশনাও দেয়া হয়। নিয়মনীতি লঙ্ঘন করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কারখানা মালিক গোপীনাথ সরকার জানান, কারখানা চালুর পর শিশু-কিশোররা কাজ করেছিল। কিন্তু কিছুদিন পর কাজ থেকে তাদের বাদ দেয়া হয়। কারখানার সব ধরনের ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করা হয়েছে। শিগগিরই সেসব কাগজপত্র হাতে পাওয়া যাবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত