ছড়াচ্ছে লাম্পি স্কিন ডিজিজ

প্রকাশ : ৩১ মার্চ ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মশিয়ার রহমান, কেশবপুর (যশোর)

যশোরের কেশবপুরে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ (পক্স জাতীয়) রোগ ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। এ রোগ নিরাময়ে গরুর মালিকরা কবিরাজের ঝাড়ফুঁকের উপর নির্ভর হয়ে পড়ছে। উপজেলার পাঁজিয়া, সুফলাকাটি ও হাসানপুর ইউনিয়নসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে গরুর এ রোগ দেখা দিয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গরুর লাম্পি স্কিন রোগের এখনও পর্যন্ত কোনো ভ্যাকসিন তৈরি হয়নি। উপজেলার পাঁজিয়া গ্রামের কৃষক জয়দেব বলেন, তার একটি গাভী ও একটি বাছুর লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। ডাক্তারি চিকিৎসা নিয়েও কোনো কাজ হয়নি। বাছুরটির হাঁটু ফুলে এখন রক্তঝরা শুরু হয়েছে। ওষুধে কাজ না হওয়ায় এখন কবিরাজি চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। গরু দু’টি খুবই দুর্বল হয়ে গেছে।

এলাকা সূত্রে জানা গেছে, পাঁজিয়া ইউনিয়নের পাথরঘাটা মনোহরনগর গ্রামের রবি কুমার ঘোষের ৩টি, সরুপ বিশ্বাসের ১টি, রেজাউল ইসলামের ২টি, মাদারডাঙ্গা গ্রামের অশোক দাসের ২টি, মোজহারের ১টি, পাঁজিয়া গ্রামের সনৎ চৌধুরীর ২টি গরু লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। সুফলাকাটি ইউনিয়নের পল্লি প্রাণি চিকিৎসক গোলাম কিবরিয়া মনি বলেন, সুফলাকাটি ইউনিয়নে ৬০ থেকে ৭০ ভাগ গরু লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তিনি গত সোমবার ১০টি বাড়িতে গিয়ে আক্রান্ত গরুর চিকিৎসা দিয়েছেন।

পাঁজিয়া গ্রামের কবিরাজ সোহরাব হোসেন গাজী বলেন, তিনি এ রোগে আক্রান্ত গরুর ঝাড়ফুঁকের পাশাপাশি নিমপাতা ও কাঁচা হলুদ একসঙ্গে বেঁটে রস খাওয়ানোর মাধ্যমে চিকিৎসা দেন। তিনি সম্প্রতি প্রায় শতাধিক গরুর এভাবে চিকিৎসা দিয়েছেন। তার দাবি, এ চিকিৎসায় গরু ভালো হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. অলোকেশ কুমার সরকার বলেন, লাম্পি স্কিন ডিজিজ জাতীয় রোগ মশা-মাছি থেকে ছড়ায়। এ রোগের এখনও পর্যন্ত কোনো ভ্যাক্সিন তৈরি হয়নি। আক্রান্ত গরু ভালো হতে অনেক সময় লাগে। সাধারণ চিকিৎসা দিয়েই আক্রান্ত গরু ভালো করা হচ্ছে। দ্রুত ডাক্তারি চিকিৎসা না নিলে আক্রান্ত বাছুরের মৃত্যুর ঝুঁকি বেশি থাকে। যারা আক্রান্ত গরুর কবিরাজি চিকিৎসা করাচ্ছেন, তারা ভুল করছেন। প্রাণিসম্পদ অফিসের পরামর্শে চিকিৎসায় এ রোগ ভালো হচ্ছে।