খাল দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ

প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  এমএ কাইয়ুম মাইজভান্ডারী, শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ)

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে একাধিক খাল ও শাখা খাল দখল করে পাকা স্থাপনা ও টিনের ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। সরেজমিন ভাগ্যকুল ইউনিয়নের উত্তর কামারগাঁও ও রাঢ়ীখালের উত্তর বালাশুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কামারগাঁও নয়াবাড়ী সংলগ্ন পদ্মানদী থেকে উৎপত্তি হয়ে বাঘড়ার কাঠালবাড়ী দিয়ে আড়িয়াল বিলে পতিত হওয়া খালের একটি শাখা খাল উত্তর কামারগাঁও আলোর দিশারী ক্লাবের পেছন দিক দিয়ে বালু ভরাটের মাধ্যমে পাকা প্রাচীর নির্মাণ করেছে ওই এলাকার সৌদি প্রবাসী জামাল মোড়ল, রাকিব আকন ও সোহরাব বেপারীগং। শাখা খালটি ভরাট করায় পানি প্রবাহ একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে। জামাল মোড়ল প্রভাবশালী হওয়ায় খাল ভরাটের সময় স্থানীয় কেউ মুখ খুলতে সাহস পাননি।

উত্তর কামারগাঁওয়ের স্থানীয় কৃষক আবুল শেখ জানান, এক সময় এ শাখা খালটি দিয়ে আমরা আড়িয়াল বিলের পাকা ধান কেটে নৌকাযোগে বাড়িতে তুলতাম। এখন খালটি ভরাট করায় এর পানিপ্রবাহ বন্ধ হয়ে গেছে।

উত্তর বালাশুরের স্থানীয় কৃষক জমশেদ কাড়াল জানান, এক সময় এই নাগরনন্দী খালই আমাদের যাতায়াতের একমাত্র পথছিল। খালটি ভরাট করায় খালটি বন্ধ হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে ভাগ্যকুল ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুরুল আমিন মোড়ল বলেন, সৌদি প্রবাসী জামাল মোড়ল আমার মামা। আপনারা নিউজ কইরেন না তার বিষয়টি আমি দেখতেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড মুন্সীগঞ্জ নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র সরকার চক্রবর্তী বলেন, দখলের বিষয়টি জেলা প্রশাসকের এবং স্থানীয়দের যদি কোনো ডিমান্ড থাকে, তাহলে আমাদের কাছে জানালে আমরা সে অনুপাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভাগ্যকুল ও রাঢ়ীখাল ইউনিয়নের সহকারী তহসিলদার রাজেস ও আমির হোসেন বলেন, আমি সরেজমিন গিয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আবু বক্কর সিদ্দিক-এর মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেনি।