শ্যালো মেশিনে চলছে পানি সেচ

প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  সিদ্দিক হোসেন, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর)

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে খরস্র্রোতা ইছামতি নদী। নদীটি এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। এর বুকজুড়ে চাষ হচ্ছে ইরি-বোরো। নদীতে প্রয়োজনীয় পানি না থাকায় ফসলে সেচ দিতে নদীর মাঝে বসানো হয়েছে ডিজেল চালিত শ্যালোমেশিন। শ্যালো মেশিনে উত্তোলিত ভূ-গর্ভস্থ পানি দিয়ে চলছে সেচ। এ নদীতে বিভিন্ন স্থানে বাঁশের সাঁকো থাকলেও নিচ দিয়ে হেঁটে পারাপার হচ্ছে মানুষসহ গবাদি পশু। নদীটি নাব্যতা ও ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছে। বর্ষা মৌসুমে জীবিত হলেও অন্যান্য সময় নদীটি প্রায় সমতল ফসলের মাঠ। নদীটিতে কিছু কিছু জায়গায় খাল দেখা যায়। এখন ইরি-বোরো চাষাবাদের কারণে নদীর অস্তিত্ব পাওয়া বেশ কঠিন। ইছামতি নদীতে বর্ষা মৌসুম ছাড়া প্রায় সারা বছরই চলে ধানের বীজতলাসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ। নদীর বুকে পলি জমে ভরাট হয়ে সমতল ভূমিতে পরিণত হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমের আগেই নদীটি শুকিয়ে গিয়ে হারিয়েছে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। কারণ নদীতে পানি না থাকলেও নদীর বুকজুড়ে সমতল ভূমিতে রয়েছে সবুজ ইরি-বোরো ক্ষেতের সমারোহ। ঐতিহ্যবাহী ইছামতি নদীটি খানসামা উপজেলার ছাতিয়ানগড় বিল থেকে উৎপত্তি হয়ে খানসামা ও চিরিরবন্দর উপজেলার ওপর দিয়ে দীর্ঘ ৬৫ কিলোমিটার এলাকা প্রবাহিত হয়েছে। এ নদীটি চিরিরবন্দরের বিন্যাকুড়ি বাজারে গিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে একটি ছোট যমুনা ও একটি মরা নদী হিসেবে পরিচিত। শ্যালোমেশিন দিয়ে পানি উত্তোলন করে ধানক্ষেতে সেচ দিচ্ছেন উপজেলার খামার সাতনালা গ্রামের বানিয়াপাড়ার ওবায়দুর রহমান। তিনি জানান, বর্ষার সময় এটি নদী মনে হয়। অন্য সময় এটি সমতল চাষের জমি। নদীর বিভিন্ন জায়গায় চাষের প্রয়োজনে শ্যালোমেশিন দিয়ে পানি উত্তোলন করে সেচ দিতে হচ্ছে। সহকারী প্রকৗশলী (পুর) সিদ্দিকুর জামান নয়ন জানান, বর্ষা মৌসুমে পলি ও বালু পড়ে নদীটি ভরাট হয়ে মরা নদীতে পরিণত হয়। বর্ষায় পানি থাকলেও নভেম্বর-মার্চ মাস পর্যন্ত নদীর বুক হয়ে ওঠে বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ।