ছাগল পালনে নারীরা স্বাবলম্বী

প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে প্রবাহিত ধরলা, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, দুধকুমার, গঙ্গাধর, জিঞ্জিরাম, সোনাভরীসহ মোট ১৬টি নদী হওয়ায় এখানে তিন শতাধিক চর ও দ্বীপ চর রয়েছে। চরাঞ্চলের নদীর অববাহিকায় ছাগল পালন দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। নদী তীরবর্তী এলাকার নারী-পুরুষ ছাগল পালনে আগ্রহী হয়ে ওঠে কারণ এর দাম কম হলেও লাভ বেশি। বেশিরভাগ মহিলাই তাদের নিজ নিজ পরিবারের ছাগল পালন করছেন ও স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার তিস্তা নদীর চর এলাকায় জোয়ান সাতরা গ্রামের গৃহবধূ মাজেদা বলেন, তার এক ছেলে আছে এবং স্বামী দারিদ্র্যের কারণে তাকে রেখে কাজের সন্ধানে অজ্ঞাত স্থানে চলে গেলে বাবার বাড়ি ফিরে আসেন। অনেক সময় তিনি অল্প মজুরিতে কৃষি শ্রমিক হিসেবে চরের জমিতে কাজ করতেন। এ অবস্থায় সরকারের পল্লী উন্নয়ন একাডেমির অর্থায়নে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা সংস্থার পাশাপাশি এমজেএসকেএস নামে একটি বেসরকারি সংস্থা প্রান্তিক কৃষকের পাশাপাশি চরের মানুষের উন্নয়নে চর এলাকায় কার্যক্রম শুরু করে। তিনি এনজিও থেকে সহায়তা পেয়ে মাত্র ৪ বছর আগে ৪ হাজার টাকায় একটি ছাগল কিনেছিলেন। এদিকে তার ছাগল বেড়েছে বর্তমানে ১২টা। জোসনা বেগম বলেন, আমরা প্রশিক্ষণ নিয়ে উঁচু জায়গায় ছাগল পালন করছি। আমরা সময়মতো ছাগলের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করি। উচ্চ জাতের ছাগল একবারে ৩-৪টি বাচ্চা দেয়। এ এলাকার পল্লী প্রাণী চিকিৎসক হারুন উর রশিদ জানান, তিনি এ বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ নিয়ে চর এলাকায় এসব পশু পালনের পরামর্শ ও চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। ভারপ্রাপ্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইউনুস আলী বলেন, চরাঞ্চলের গৃহপালিত পশুরা জেলার মানুষের দুধ ও অন্যান্য ভিটামিনের চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।