পাবনায় অপহরণ করে হত্যা চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কাজী বাবলা, পাবনা

পাবনায় অপহরণ করে হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার পাবনার বিশেষ জজ আদালতের (জেলা জজ) বিচারক আহসান তারেক এ রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ঝিনাইদহের শৈলকোপা উপজেলার লঘু নন্দনপুর গ্রামের নুরু জোয়ার্দারের ছেলে সবুজ ওরফে দাদা ভাই ওরফে বকুল, কুষ্টিয়ার খোকশা থানার বনগ্রাম পূর্বপাড়ার মোবারক হোসেনের ছেলে আবুল কালাম, নিহাল বিশ্বাসের ছেলে আজাদ বিশ্বাস এবং খলিল শেখ। রায় ঘোষণার সময় আসামি আজাদ ও আবুল কালাম উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পাবনার বেড়া উপজেলার রামনারায়ণপুরের রশিদ সিকদারের বাড়িতে দিনমজুরের কাজে এসে সম্পর্ক তৈরি করেন বকুল। সম্পর্কের এক পর্যায়ে ২০০৯ সালের ১৪ জুলাই রশিদকে বিদেশে নেয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় সবুজ। পরের দিন রশিদের বাড়ির লোকজন তার খোঁজ নিলে সবুজ তাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এ বিষয়ে বেড়া থানায় একটি অভিযোগ দেন রশিদের শ্যালক বাহের মণ্ডল। অভিযোগের সূত্র ধরে পুলিশ সবুজকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে স্বীকার করে, মুক্তিপণের টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকে হত্যা করে লাশ পদ্মানদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে। আদালতে আসামিদের পক্ষের আইনজীবী ছিলেন তৌফিক ইমাম খান ও মকিবুল আলম বাবলা এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর দেওয়ান মজনুল হক। রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে দেওয়ান মজনুল হক বলেন, যেহেতু লাশ উদ্ধার হয়নি এজন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী অপহরণ মামলায় বিচার হয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতীয়মান হয়েছে। তবে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আসামিদের পক্ষের আইনজীবী তৌফিক ইমাম খান। তিনি বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে আমার মক্কেল ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।