ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ধর্ষণ মামলায় ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ধর্ষণ মামলায় ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নাটোরের সিংড়ায় এক কলেজছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলায় ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড ও চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করেন। গতকাল বুধবার নাটোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুর রহিম এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মো. ছাব্বির আহম্মেদ, মো. রেজাউনুল রাব্বি, মো. নাজমুল হক, মো. রাজিবুল হাসান, মো. রিপন ও মো. শহিদুল।

যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. মনিরুল ইসলাম, মো. খায়রুল ইসলাম, মো. আতাউল ইসলাম আতাউর এবং মো. রেজাউল করিম।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে ১৯ অক্টোবর ভিকটিম জরুরি কাজে কলেজের জন্য বের হয়। এ সময় পথে পরিচিত আসামি সাব্বির আহমেদের সঙ্গে ওই কলেজ ছাত্রীর দেখা হয়। পরে ভিকটিমকে ফুসলিয়ে বেড়ানোর কথা বলে নাটোরের সিংড়া উপজেলার পেট্রো বাংলা এলাকায় নিয়ে আসে। সেখানে আসামি নাজমুল হক, রাজিবুল হাসান, রিপন ও শহিদুল ওই কলেজছাত্রীকে বেড়ানোর কথা বলে ভ্যান যোগে কলম মির্জাপুর গ্রামে নিয়ে যায়। পরে রাত হলে ওই ছাত্রী বাড়ি ফেরার কথা বললে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখায় আসামিরা। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে আসামি মনিরুল ইসলাম, খায়রুল ইসলাম, আতাউল ইসলাম এবং রেজাউল করিমসহ আরও দুই-তিনজন মিলে কলম মির্জাপুর এলাকার ঈদগাঁ মাঠে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন বুঝতে পেরে ওই ছাত্রীকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার এবং আসামিদের আটক করে।

পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আসামিদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে ২০ অক্টোবর সকালে ওই কলেজছাত্রীর বাবা সিংড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি ধর্ষণ মামলায় মামলা করেন। দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর পর সাক্ষ্য প্রমান শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুর রহিম ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড ও চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজনকে খালাস দেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত