ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বেড়িবাঁধ সংস্কারে বনায়ন ধ্বংস

বেড়িবাঁধ সংস্কারে বনায়ন ধ্বংস

উপকূলীয় বাঁধ রক্ষার বনায়ন করা হলেও বনায়ন ধ্বংস করেই বাঁধ সংস্কারের কর্মযজ্ঞ চলছে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে। বিষয়টি একাধিকবার কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও প্রতিকার পায়নি স্থানীয়রা। জানা যায়, উপজেলার মুন্সীগঞ্জের পূর্বকালিনগরে ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪৪৮ মিটার বেড়িবাঁধ সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কাজটির মূল ঠিকাদার কাজ না করে সাব ঠিকাদার কাজটি করছেন। কিন্তু ঝুড়ি কোদালে কাজ না করে অধিক লাভের আশায় স্কেভেটর মেশিন ব্যবহারের জন্য ধ্বংস করা হচ্ছে বৃক্ষরাজি। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্কেভেটর মেশিন চালানোর জন্য নির্বিচারে সামাজিক বনায়নের হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। স্থানীয় বয়োবৃদ্ধ সুভাষ মন্ডল বলেন, আমরা ছোট বেলায় দেখেছি বাঁধ সংস্কার করতে ঝুড়ি কোদাল দিয়ে কাজ করতে। এতে গাছের কোনো সমস্যা হতো না। কিন্তু এখন দেখছি মেশিন দিয়ে বাঁধ সংস্কার করার জন্য গাছগুলো কেটে ফেলছে। অনেক সময় ব্যায় ও কষ্ট করে গাছগুলো আমরা ভাঙন থেকে মুক্তি পেতে গাছগুলো রোপণ করেছিলাম। অথচ সেই গাছ নির্বিচারে কাটা দেখে খুব খারাপ লাগছে। পরিবেশবিদরা জানান, ষাটের দশকে নির্মিত বাঁধ রক্ষার জন্য সামাজিক বনাযন করা হয়। কিন্তু ঠিকাদার ও পাউবো কর্মকর্তার সহযোগিতায় অধিক লাভের আশায় স্কেভেটর মেশিন দিয়ে কাজ করার কারণে নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে। এভাবে গাছ কাটলে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হবে এছাড়া সংস্কার করা বাঁধ টিকিয়ে রাখতে গাছের প্রয়োজন। কিন্তু যে গাছকাটা হয়েছে, এগুলো আগামী ২০ বছরেও লাগাতে পারবে না। গাছ কাটার বিষয়ে সাব ঠিকাদার মইনুল ইসলাম বলেন, মেশিন দিয়ে কাজ করার স্বার্থে কিছু গাছ কেটেছি। এ বিষয়ে পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী জাকারিয়া ফেরদাউস বলেন, আমরা কাউকে গাছ কাটতে বলিনি। কেউ যদি গাছ কাটে আমরা কি করতে পারি। শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তার হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি নিজে যেয়ে দেখব। আপাতত স্থানীয় চেয়াম্যানকে বলে দিয়েছি গাছগুলো জব্দ করতে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত