ফার্মেসিতে সরকারি ওষুধ বিক্রি

প্রকাশ : ০৭ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আইয়ুব আলী, শেরপুর (বগুড়া)

ওষুধের গায়ে লেখা ‘সরকারি সম্পদ বিক্রি করা দণ্ডনীয় অপরাধ’। এরপরও রমরমা ব্যবসা চলছে বিক্রি নিষিদ্ধ ওইসব ওষুধের। খোদ সরকারি হাসপাতালের অসাধু কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাধ্যমে জনসাধারণের জন্য সরকারি বরাদ্দের সিংহভাগ ওষুধই চলে যাচ্ছে খোলাবাজারে। যা উচ্চমূল্যে বিক্রি হচ্ছে ফার্মেসিগুলোতে। কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। অথচ বিনামূল্যে দেয়ার জন্য সরকারিভাবে ওষুধগুলো হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মায়া খাতুন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী পদে চাকরির পাশাপাশি বাগড়া হঠাৎপাড়া বাজারে একটি ওষুধের ফার্মেসি পরিচালনা করে আসছেন। তবে ওই ফার্মেসিতে সার্বক্ষণিক থাকেন তার স্বামী আবু বকর সিদ্দিক। তিনি ওষুধ কেনাবেচা করে থাকেন।

অভিযোগ উঠেছে, ওই ফার্মেসি থেকে প্রতিদিনই হাসপাতালের সরকারি ওষুধ বিক্রি করা হয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় বিগত ২৪ মার্চ একই গ্রামের নুরু হকের স্ত্রী সাজেদা বেগম ওষুধ কেনার জন্য চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্রসহ ওই ফার্মেসিতে যান। সেখান থেকে কিছু ওষুধ কেনে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। কিন্তু দাম বেশি মনে হওয়ায় প্রতিবেশি লোকজনকে ওষুধগুলো দেখান। এসময় তার কেনা ওষুধগুলোর মধ্যে বেশকিছু বিক্রি নিষিদ্ধ সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করা ওষুধ পাওয়া যায়। পরে ঘটনাটি জানিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাকিব হোসেনের নিকট সরকারি ওষুধগুলো জমা দেয়া হয়।

শাকিব হোসেন বলেন, সরকারি হাসপাতালে সরবরাহ করা সেফিক্সিম-৪০০সহ বেশকিছু ওষুধ ওই ফার্মেসিতে কেনাবেচার সময় হাতেনাতে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে ঘটনাটি জানতে চাইলে ওই ফার্মেসির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এমনকি আমাকে বলেন, সরকারি ওষুধ আমরা বিক্রি করব, তাতে তোমাদের কী, পারলে ঠেকাও।

উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারী মায়া খাতুন এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজী হননি। তবে তার স্বামী আবু বকর সিদ্দিক অভিযোগ অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের ফার্মেসিতে কোনো সরকারি ওষুধ বিক্রি হয় না। সামাজিক দ্বন্দ্বের জেরে তাদের বিরুদ্ধে এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে।