ঈশ্বরদীতে ইফতার বিক্রিতে ধস : ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত

প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আলমাস আলী, ঈশ্বরদী (পাবনা)

রমজান মাসে গরমের মধ্যে ইফতারি কেনাকাটায় কিছুটা সচেতন হয়েছেন রোজাদাররা। ভাজাপোড়া থেকে মুখ ফিরিয়ে ফল ও স্বাস্থ্যসম্মত খাবারে ঝুঁকছেন অনেকে। আবার জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় ইফতারে বাড়তি খরচের সামর্থ্য নেই অনেকের। অর্থনৈতিক মন্দার কারণেও হিসাব-নিকাশ করেই সকলে খরচ করছেন। ফলে ক্রেতার অভাবে এবারে ইফতার বিক্রিতে ধ্বস নেমেছে। লোকসানের মূখে পড়ছেন ঈশ্বরদীর ইফতার ব্যবসায়ীরা। লাভ তো দূরের কথা ইফতার বিক্রি করে কর্মচারীর হাজিরাও ওঠছে না বলে জানিয়েছেন হোটেল-মিষ্টির দোকানদার ও মৌসুমী ইফতার ব্যবসায়ীরা। সরেজমিনে দেখা যায়, শহরের হোটেল ও মিষ্টির দোকান ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ইফতার সামগ্রী নিয়ে বসেছেন মৌসুমি দোকানিরা। শহরের রেলগেট, পোষ্ট অফিসমোড়, আলহাজ্ব মোড়, কলেজ রোড, আকবরের মোড়, বকুলের মোড়, অরোণকোলাসহ বিভিন্ন স্থানে ইফতারের পসরা সাজিয়ে বিক্রির জন্য বসে আছে দোকানিরা। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই দোকানগুলোতে রকমারি ইফতারি তৈরি হয়েছে। এবারে প্রথম থেকেই ক্রেতা কম। অন্যান্য বছরে বিকেলেই ইফতারি শেষ হয়ে গেলেও এবার প্রতিটি দোকানেই অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে। কারিগরদের বেতন ও তেলসহ সব জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় শুরু থেকেই ধাক্কা খাচ্ছেন ইফতার ব্যবসায়ীরা। আশা ছিল মাসের প্রথম দিকে বিক্রি বাড়বে। কিন্তু বিক্রি না বেড়ে, দিন যতই যাচ্ছে ততই কমছে। বাজারে ইফতার কিনতে আসা হানিফ সরকার বলেন, রোজার শুরু থেকেই গরম। এক-দুদিন ভাজাপোড়া দিয়ে ইফতার করেছি।

এখন ওসব কমিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত খাবারই খাচ্ছি। জিলাপি কিনতে এলাম। বাজারে নিমকি আর বুঁদিয়া কিনছিলেন সোহেল রানা। তিনি বলেন, আগের মতো আর ইফতারি কিনি না। রকিব হাসান বলেন, বাজার করতেই টাকা শেষ। ইফতারি কিনবো কি দিয়ে। ইফতারের দাম বেড়ে গেছে। আগে যেসব পাঁচ টাকায় কিনতাম সেটা এখন কিনতে হচ্ছে ৮-১০ টাকায়।