ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অল্প বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ নিয়ে লুকোচুরি

বিদ্যুতের চাহিদা থাকে প্রায় ১৪ মেগাওয়াট
অল্প বৃষ্টিতে বিদ্যুৎ নিয়ে লুকোচুরি

মৌলভীবাজারে হালকা বৃষ্টি হলেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ নিয়ে লুকোচুরি। শহর ও সংলগ্ন এলাকায় বিউবোর গ্রাহক প্রায় ৩০ হাজার। বিদ্যুতের চাহিদা থাকে প্রায় ১৪ মেগাওয়াট। এখনো কালবৈশাখির মৌসুম শুরু হয়নি। এর আগেই সামান্য ঝড়ঝঞ্ঝায় দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যুৎ থাকছে না মৌলভীবাজার শহরে। শহরের লোকজন বলেন, ঝড়-বৃষ্টি হলে মৌলভীবাজার-শ্রীমঙ্গল এবং মৌলভীবাজার-ফেঞ্চুগঞ্জ বিদ্যুৎ লাইনে গাছপালা উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গত রবিবার বিকালের ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা শহরে বিদ্যুৎ ছিল না। এর আগে ২৬ মার্চ রাতে ঝড়ে বিদ্যুৎ লাইনে গাছ পড়ে প্রায় ছয় ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন ছিল। স্থানীয় ও বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) মৌলভীবাজার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার শহর ও সংলগ্ন এলাকায় বিউবোর গ্রাহক প্রায় ৩০ হাজার। বিদ্যুতের চাহিদা থাকে প্রায় ১৪ মেগাওয়াট। শহরে বিদ্যুৎ আসে শ্রীমঙ্গল ও ফেঞ্চুগঞ্জ থেকে। মৌলভীবাজার-শ্রীমঙ্গল লাইন ২৮ কিলোমিটার এবং মৌলভীবাজার-ফেঞ্চুগঞ্জ লাইন ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ। দুটি লাইনই এসেছে হাওর-বাঁওড়, পাহাড়-টিলা, চা-বাগানসহ গ্রামের ভেতর দিয়ে। দুটি লাইনের পাশ ঘেঁষে রয়েছে ছোট-বড় গাছপালা। এ ছাড়া মৌলভীবাজার-ফেঞ্চুগঞ্জ লাইনের কাছে আছে প্রায় ২০টি বাঁশঝাড়। মৌলভীবাজার বিউবো সূত্র জানায়, গত রবিবারের ঝড়ে শ্রীমঙ্গল সড়কে দুটি বিদ্যুতের খুঁটি দুমড়েমুচড়ে যায়। মৌলভীবাজার-ফেঞ্চুগঞ্জ লাইনের হাসানপুরে দুটি গাছ সম্পূর্ণ উপড়ে লাইনের ওপর পড়ে। এতে মৌলভীবাজার শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহের দুটি উৎসই বন্ধ হয়ে যায়। বাড়তি জনবল লাগিয়ে ওপড়ানো ও ভেঙে পড়া গাছ অপসারণ করে রাত সাড়ে আটটার সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। শ্রীমঙ্গল শহরের এলাকার বাসিন্দা মো. হেলাল ও মো. তারেক মিয়া বলেন, ঝড়-তুফানের ভাব হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকলে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় পানির।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত