ছাগল পালনে চরাঞ্চলের নারীদের ভাগ্য বদলে যাচ্ছে

প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমারসহ ছোট বড় ১৬টি নদ-নদী রয়েছে কুড়িগ্রামে। এসব নদ-নদীর অববাহিকায় থাকা প্রায় চার শতাধিক চরাঞ্চলে বসবাস করে ৫ লক্ষাধিক মানুষ। বর্তমানে কুড়িগ্রামসহ দেশের অধিকাংশ নদী নাব্যতা হারিয়ে শুকিয়ে গেছে। ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে মাছও। ফলে চরাঞ্চলের পাশাপাশি নদীর অববাহিকায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ছাগল পালন। ছাগলের দাম কম হলেও লাভ বেশি হওয়ায় ছাগল পালনে আগ্রহী হয়ে উঠছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষ। ছাগল পালন করেই স্বাবলম্বী হচ্ছেন চরাঞ্চলের বেশিরভাগ নারী। তেমনি একজন কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের তিস্তার চরের গৃহবধূ মাজেদা বেগম (২০)। এক সন্তানের জননী তিনি। দারিদ্র্যের কারণে স্ত্রী মাজেদাকে রেখে কাজের সন্ধানে অজ্ঞাত স্থানে চলে যান স্বামী। পরে স্বামীর সন্ধান না পেয়ে মাজেদা আশ্রয় নেন তিস্তার জোওয়ান সাতারা এলাকায় বাবার বাড়িতে। এদিকে প্রান্তিক কৃষকের পাশাপাশি চরের মানুষের উন্নয়নে চর এলাকায় কার্যক্রম শুরু করে এমজেএসকেএস নামে একটি বেসরকারি সংস্থা। সরকারের পল্লী উন্নয়ন একাডেমির অর্থায়নে পরিচালিত সংস্থাটি বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পেতেও সহায়তা করে। বেসরকারি সংস্থাটির সহায়তায় মাত্র চার বছর আগে চার হাজার টাকায় একটি ছাগল কিনেছিলেন গৃহবধূ মাজেদা। বর্তমানে তার ছাগলের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২টিতে। এখন পর্যন্ত ছাগল বিক্রি করে ৩০ হাজার টাকাও পেয়েছেন তিনি। তার পালন করা কিছু ছাগল বছরে তিনবার বাচ্চা প্রসব করে। প্রতিবার ২ থেকে ৪টি করে বাচ্চা দেয় এসব ছাগল।