সেতুতে উঠতে লাগে সিঁড়ি

প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  মো. নেয়ামুল আহসান, রাজাপুর (ঝালকাঠি)

ঝালকাঠির রাজাপুরে সেতুতে উঠতে হয় সিঁড়ি বেয়ে এতে প্রায়ই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। উপজেলার শুক্তগড় ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন সাংগর খালের উপর সেতুর এমন অবস্থা।

অফিস সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ সাংগর খালের উপর ২০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৭.৩ মিটার প্রস্থ আর সিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করেন। ২ কোটি ১৭ লাখ ৯৮ হাজার ৬৬৭ টাকা ব্যয় মেসার্স হাবিব সন্স-খন্দকার বিজনেন্স নামে ঝালকাঠির একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ওই সেতু নির্মাণে কাজের চুক্তি হয়। ২০২১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পুরোনো সেতুটি ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করে। ২০২২ সালের ৩০ এপ্রিল সম্পূর্ণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও এখনো দুই পাশের সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেনি ঠিকাদার। এখন এই সেতু কোনো কাজেই আসছে না। ফলে দুই পাড়ের শত শত মানুষ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের নৌকায় পার হতে গিয়ে অনেক সময় পড়ে গিয়ে ভিজে যায়। বর্তমানে কাঠ-বাঁশ দিয়ে সিঁড়ি তৈরি করে তাতেই নতুন সেতুতে পার হচ্ছে জনসাধারণ। প্রায় ১০ থেকে ১২ ফুট উচুঁ সেতুতে সিড়িঁ বেয়ে ওঠা-নামা করতে গিয়ে প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে।

স্থানীয় রহমত আলী, জব্বার হোসেন, কহিনুর বেগম, রাজ্জাক হাওলাদার জানান, সেতু নির্মাণ হওয়ায় তাদের আশা ছিল জনভোগান্তি দূর হবে বরং এখন উল্টো তাদের দুর্ভোগ বেড়েছে। সিঁড়ি বেয়ে সেতুতে উঠতে গিয়ে অনেক সময় কোমলমতি শিশুরা প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। বয়স্ক মানুষ কারো সাহায্য ছাড়া সেতুতে উঠতে পারচ্ছে না। আবার কারো সাহায্য নিয়ে পার হতে খুব কষ্ট হয়। পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসতে হলে তাদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

সেতু নির্মাণের ঠিকাদার মো. শাহিন হোসেন জানান, কর্তৃপক্ষের একেক সময় একেক রকমের সিদ্ধান্তের কারণে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। এখন একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে এসেছি খুব শিগগির সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করা হবে। উপজেলা প্রকৌশলী অভিজিৎ মজুমদার বলেন, ঠিকাদার শিগগিরই সেতুর বাকি কাজ শুরু করবে।