একই মৌসুমে বাড়ছে গম চাষ

প্রকাশ : ০৯ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  হাসান মামুন, পিরোজপুর

চলতি রবি মৌসুমে গমের সবুজ শীষে স্বপ্ন বুনছেন কৃষক। গমের ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষকরা দিন দিন গম চাষের দিকে ঝুঁকছেন। যার কারণে উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের মাটি, আবহাওয়া ও জলবায়ু ধানী ফসলের চেয়ে স্থানীয় বিভিন্ন জাতের ফসল চাষাবাদের জন্য বেশ উপযোগী হওয়ায় প্রতিবছর বাড়ছে এর আবাদ। চলতি বোরো মৌসুমের মাঠে বোরোর পাশাপশি চাষিরা একই মাঠে বেশ স্বচ্ছন্দে আবাদ করছে গম, সূর্যমুখী, পেয়াঁজ, রসুন, বাঙ্গি, তরমুজসহ বিভিন্ন তৈল জাতীয় ফসলের। জেলার উত্তরের জনপদ নাজিরপুর উপজেলার আবহাওয়া ও মাটি এ অঞ্চলের কৃষকের কাছে আশীর্বাদ হয়ে ওঠায় একই ধানী জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে গমসহ বিবিন্ন ফসলের। কৃষি বিভাগের হিসেব মতে, চলতি রবি মৌসুমে নাজিরপুরসহ জেলার ৭টি উপজেলায় ১০২ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে গম ফসলের। এরইমধ্যে গম চাষিরা তাদের বপনকৃত ক্ষেতের পাকা গম কর্তন করতে শুরু করেছেন। এবছর গম আবাদের ফলন আশানুরুপ হওয়ায় চাষিরা আগামীতে আরো বেশি পরিমান গম আবাদের দিকে ঝুঁকবেন বলে এমনটাই তাদের বক্তব্য। গমচাষি শনির বিশ্বাস মিন্টু ও আলিম মোল্লা জানায়, তাদের আর বাজার থেকে গম ক্রয় করে আটা বানিয়ে খেতে হবে না। বছরজুড়েই নিজের জমির উৎপাদিত গম দিয়ে সংসার চলবে। আরো কয়েকজন গমচাষি বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে গমই প্রধান খাদ্য। নাজিরপুর উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্ত বিজন কৃষ্ণ হাওলদার বলেন, একই জমিতে প্রতি মৌসুমে একই ফসল চাষ না করে বিভিন্ন রকমের ফসল চাষ করলে সেই জমির উর্বরতা শক্তিও বৃদ্ধি পায়।