ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আর্সেনিকমুক্ত পানি বঞ্চিত জেলাবাসী

আর্সেনিকমুক্ত পানি বঞ্চিত জেলাবাসী

চাঁদপুরে দীর্ঘ প্রায় ৩১ বছর ধরে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চাঁদপুর কমিউনিটি ডেভেলেপমেন্ট সংস্থার আর্সেনিকের উপর ব্যাপক কার্যক্রমের মাধ্যমে কাজ করার পরও জেলায় শত ভাগ আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানি পাচ্ছে না ৮ উপজেলার প্রায় ২৬ লাখ মানুষ। চাঁদপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের তথ্যে জানা গেছে, ১৯৯৩ সালে নলকূপে প্রথম চাঁদপুরে আর্সেনিক শনাক্ত করা হয়। এরপর ৮ উপজেলার অধিকাংশ নলকূপের পানিতে আর্সেনিক শনাক্ত হতে থাকে। ধারবাহিকতায় ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে জেলার সর্বত্র আর্সেনিকের থাবা। তবে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক থাকলেও এ অঞ্চলের মানুষের সচেতনতায় অনেকাংশেই রক্ষা পেয়েছে বিশাল জনপদের মানুষ। মানুষ নলকূপের পানি পান করা থেকে বিরত থাকা ও বিকল্প বিশুদ্ধ খাবার পানি গ্রহণ করায় এ বিশার আর্সেনিকযুক্ত পানি থেকে এ যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিল। চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার জানান, আর্সেনিকে আক্রান্ত রোগী এখন জেলায় নেই। এই সংক্রান্ত কোনো রিপোর্ট উপজেলা থেকেও জেলায় আসে না। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু মুসা মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে নিয়মিত গভীর নলকূপ স্থাপন ও পৌর এলাকায় পাম্প হাউজ এবং ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি শোধনাগার নির্মাণ করার মাধ্যমে ২০২৩ সাল পর্যন্ত আমাদের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ৭০ ভাগ মানুষ আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ পানির আওতায় এসেছে। এই সংখ্যাটি আরো বেশী হতে পারে। তবে সেই তথ্য আমাদের কাছে নেই। তিনি আরো জানান, সরকারের প্রত্যেক আর্থিক বছরে জেলায় বরাদ্দকৃত গভীর নলকূপ বসানো হচ্ছে। এছাড়াও অনেকে ব্যক্তিগত খরচে গভীর নলকূপ বসিয়ে নিচ্ছে। সেই সংখ্যাটি আমাদেও জানানো হয় না। এছাড়াও আমরা প্রত্যেক উপজেলায় নলকূপে পানিতে আর্সেনিক আছে কিনা তা নিয়মিত পরীক্ষা করে আসছি এবং একটি এ্যাপের মাধ্যমে উপজেলা কর্মকর্তাগণ আমাদের তথ্য দিচ্ছেন। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে আমরা এখন নিশ্চিত হতে পেরেছি শত ভাগ পানি আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ হতে না পারলেও ৭০ ভাগ পানি আর্সেনিকমুক্ত নিরাপদ হতে পেরেছে, সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করার ফলে এ অবস্থায় রয়েছে চাঁদপুর।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত