ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সরকারি চাল কালোবাজারে

গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ

গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ফেরদৌস আলমের বিরুদ্ধে কালোবাজারে চাল ক্রয় ও বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার ভোর রাতে ওই গুদামে ২ ভ্যান চাল গোপনে ঢুকানো হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তাড়াহুড়া করে তা আবার বের করে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন গুদাম কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম।

ওই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী খাদ্য গুদাম এলাকার বাসিন্দা বিষ্ণ মোহন্ত ও মনি বাবু রায় জানান, সরকার ১৫ টাকা কেজি দরে চাল তালিকাভুক্ত সুবিধাভোগীদের মাঝে বিক্রয় করে আসছেন। ভোটমারী খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম সেই চাল তার পরিচিত খাদ্য গুদাম এলাকার বাসিন্দা এনামুল হকের মাধ্যমে খোলাবাজার থেকে ক্রয় করেন। সেই চালগুলো আবারও প্যাকেটজাত করে মিল-মালিকদের ম্যানেজ করে কৌশলে গুদামে ঢুকিয়ে সরকারের কাছে বিক্রি করেন। এতে যা লাভ হয় তা ওই গুদাম কর্মকর্তাসহ এ অনিয়মের সঙ্গে জড়িতরা ভাগাভাগি করে নিয়ে থাকেন।

খাদ্য গুদাম এলাকার বাসিন্দা ও চাল কালোবাজারে ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত এনামুল হকের সঙ্গে কথা বলেও এ ঘটনার সত্যতা মিলে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আহেদুল ইসলাম জানান, ভোটমারী খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা ফেরদৌস আলমের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এ কালোবাজারে সরকারি চাল ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত। আর এসবের প্রতিবাদ করলেই চাঁদাবাজি মামলার হুমকি দেয়। গুদামে চাল ঢুকানোর বিষয়টি তিনিও শুনেছেন বলে জানান।

তবে ভোটমারী খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্থানীয় এক যুবক আমার কাছে অনৈতিক সুবিধা না পেয়ে আমার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা কথা বলে বেড়াচ্ছে।

লালমনিরহাট জেলা খাদ্য কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। ভোর রাতে চাল ঢুকানোর কোনো সুযোগ নেই। খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত