ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বোরো ক্ষেতে ব্লাস্টের আক্রমণ

বোরো ক্ষেতে ব্লাস্টের আক্রমণ

যশোরের কেশবপুরে বিভিন্ন এলাকার বোরো ক্ষেতে ব্লাস্টের আক্রমণে কৃষক হতাশ। এর মধ্যে কেশবপুর পৌরসভার ভোগতি বিল, রাজনগর-বাকাবর্ষী বিল, বিলগরালিয়া ও গৌরীঘোনার বিলে বেশি আক্রান্ত হয়েছে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে কেশবপুর উপজেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১৪ হাজার ৫২০ হেক্টর জমি। সেখানে আবাদ করা হয়েছে ১৪ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে। ৯ হেক্টর জমিতে বোরো ক্ষেত ব্লাস্টে আক্রান্ত হয়েছে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিলে গিয়ে দেখা যায়, ভোগতি বিলে পৌরসভার মেয়র রফিকুল ইসলাম মোড়লের ৫০ শতক ও কৃষক নাছিমের ২১ শতক জমির ধানে ব্লাস্ট আক্রান্ত হয়েছে। এ ছাড়া সদরের মধ্যকুল বিলে এক হেক্টর, উপজেলার রাজনগর-বাকাবর্ষী বিল গরালিয়ার কৃষক শাহাদাতের ১০ কাঠা জমিতে, কৃষক শাহজাহানের এক বিঘা, জাহাঙ্গীর আলমের ১০ কাঠা, কৃষক রানার ২১ শতক, কামাল দফাদারের ১৬ শতক, আব্দুল মজিদ দফাদারের ৯ কাঠা জমিতে ব্লাস্ট রোগে আক্রান্ত হয়েছে। পাথরঘাটা গ্রামের মাওলানা আব্দুল কাদেরের পারঘাটা বিলে এক বিঘা জমির ধান ব্লাস্টে ভরে গেছে। পৌরিঘোনা ইউনিয়নের আগরহাটি বিলে আব্দুল মান্নানের ১৫ বিঘা জমিতে, ভরত-ভায়না বিলে আমজাদ গাজীসহ সাড়ে ৭ বিঘা, ভর্তের বিলে অসেক আলিসহ ৫ বিঘা জমি ফ্লাটে আক্রান্ত হয়েছে। এ ছাড়া বুড়ুলি, মানের বিল, সন্ত্রাসগাছা ও সুফলাকাটি বিলসহ উপজেলার বিভিন্ন বিলে প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে ব্লাস্টে আক্রান্ত হয়েছে। স্থানীয় কৃষি অফিসের কোনো সহায়তা এবং পরামর্শ কৃষকদের দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে চলতি বোরো মৌসুমে কেশবপুরে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উপজেলার রাজনগর বাকাবর্শী গ্রামের কৃষক আমির আলী, শাহাজান আলী, জাহাঙ্গীর আলম, পাথরঘাটা গ্রামের মাওলানা আব্দুল কাদের বলেন, আমাদের বোরো ধানের ক্ষেত ১৮-২০ দিন আগে ব্লাস্টে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু কৃষি অফিসের কেউ খোঁজ-খবর নেননি।

কেশবপুর পৌর ও সদর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ বলেন, আমার এলাকায় পৌর মেয়র ও সাদিকসহ বেশ কয়েকজন কৃষকের জমি ব্লাস্টে আক্রান্ত হলেও বর্তমানে তা নিয়ন্ত্রণে আছে। গৌরিঘোনা ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবুল কাশেম বলেন, আমার ইউনিয়নের বিভিন্ন বিলে মোট ২৫ বিঘা ২৮ ধানের ক্ষেত ব্লাস্টে আক্রান্ত হয়েছে। আমার জানামতে ওইসব জমিতে সব ধরনের ওষুধ প্রয়োগ করা হলেও তাতে কোনো কাজে আসেনি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনও পর্যন্ত নিরূপণ করা হয়নি।

পাঁজিয়া ইউনিয়ন ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মিলন কুমার দাস বলেন, আমার ব্লকে ২৮ জাতের ধান ২০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ হেক্টর জমিতে ব্লাস্টে আক্রান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ২৮ জাতের ধান না লাগানোর জন্য আমি কৃষকদের নিরুৎসাহিত করেছিলাম; কিন্তু কৃষকরা তা শোনেননি। তবে বর্তমানে আক্রান্ত সব ধানের ক্ষেত্রে ওষুধ প্রয়োগ চলছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহামুদা আক্তার বলেন, এ উপজেলার ৯ হেক্টর জমির ২৮ জাতের ধানে ব্লাস্টে আক্রান্ত হয়েছে। এ ছাড়া বাকিটা বিলে আমরা সার্বক্ষণিক তদারকি করছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত