ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মিশ্র বাগানে বস্তায় আদা চাষ

মিশ্র বাগানে বস্তায় আদা চাষ

আম, লিচু ও লটকনের বাগানের সফল উদ্যোক্তা রুহুল আমিন সরকার এরই মধ্যে তার বাগানের ভেতরে শুরু করেছেন বস্তা পদ্ধতি আদা চাষ। প্রায় ১০ হাজার বস্তায় মাটি-সার প্রস্তুত করে রোপণ করা হয় উন্নত জাতের আদাবীজ। এখান থেকে লক্ষাধিক টাকা আয়ের স্বপ্ন দেখছেন এই উদ্যোক্তা। ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি বিস্তার ও ফল বাগানের পতিত জমি সর্বত্তোম ব্যবহারের লক্ষ্যে বস্তা পদ্ধতিতে এই আদা চাষ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। সম্প্রতি গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের তরফ ফাজিল গ্রামে এটি উদ্বোধন করেন গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ খোরশেদ আলম। আদা চাষের উদ্যোক্তা ও কৃষিবিদ ড. রুহুল আমিন সরকারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের অতিরিক্ত উপপরিচালক রাজেন্দ্র নাথ রায়, সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মতিউল আলম, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মাহাবুবুল আলম বসনিয়া, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলামসহ স্থানীয় কৃষক। এই চাষের কারিগরি সহায়তা করেন মশলা গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ ড. আশিকুল ইসলাম।

আদা চাষি ড. রহুল আমিন সরকার জানান, ১০ হাজার বস্তায় ফসল সংগ্রহ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা খরচ হবে তার। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এবং স্থানীয় কৃষি বিভাগের সহযোগিতা পেলে প্রায় ৩১৫ মণ আদা পাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকা হতে পারে। আর স্থানীয় পর্যায়ে আদাবীজের সংকট অনেকটাই। তার উৎপাদিত আদা থেকে বীজ সংগ্রহ করে সেটি প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে সাশ্রয়ী দামে বিক্রি করবেন। এতে করে বীজের সংকট দূরীকরণ করা সম্ভব।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ খোরশেদ আলম বলেন, বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষে জমির চেয়ে রোগবালাইয়ের আক্রমণ হয় কম। এছাড়া কীটনাশক এবং পানি লাগে অনেক কম। ফলে যে কোনো স্থানে এভাবে আদা চাষ করা সম্ভব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত