ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জমে উঠেছে ঈদবাজার

জমে উঠেছে ঈদবাজার

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) : রমজান শুরুর আগে থেকেই চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ঈদের কেনাকাটা শুরু হয়েছে। উপজেলার বিপণি কেন্দ্রগুলোতে লেগেছে তরুণী ও মহিলাদের ভিড়। ঈদ বাজারের বাড়তি দাম, ভিড় ও ভোগান্তি এড়াতে এ আগাম কেনাকাটা কিংবা আগাম একটা ধারণার জন্য তারা বিপণি কেন্দ্রমুখী। এতে খুশি বিক্রেতারাও। তাই শেষ মুহূর্তে বেশ জমে উঠেছে ঈদ বাজার। নিত্যনতুন পোশাকের কালেকশন সংগ্রহ করতে আগেভাগেই শপিং মলগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন সকল বয়সি মহিলা ও পুরুষ ক্রেতারা। সন্ধ্যায় ভিড় আরো বেড়ে যায়। গত বুধবার রাতে পৌরসদরের জিএস প্লাজা ও লক্ষী প্লাজায় সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সবক’টি দোকানেই ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। যতই ঈদের দিন ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে মার্কেটগুলোতে ক্রেতা সমাগম। সেই সঙ্গে বাড়ছে বিক্রেতাদের ব্যস্ততা।

গুনাগরি ও উপজেলা সদরের অত্যাধুনিক শপিং সেন্টারগুলোতে এখন ১ হাজার থেকে শুরু করে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক টাকা দামের শাড়ি পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে। ৭০০ থেকে শুরু করে ১৫ হাজার টাকা দামের পাঞ্জাবি, সেলোয়ার কামিজ ও থ্রিপিস ২ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। মার্কেটগুলোতে বিদেশি কসমেটিক ও ইমিটেশন জুয়েলারির সমাহার রয়েছে। বাঁশখালী গুনাগরিতে অত্যাধুনিক শপিং দোকান উৎসব শপিংমলে বাজার করতে আসা হুমাইরা জানান, ঈদের তো আর বেশি দেরি নেই, আর বাচ্চাদের জন্য ঈদের নতুন জামা কেনাকাটা সেরে ফেলছি। তবে কাপড়ের মূল্য গতবারের চেয়ে এবার অনেকটা বেশি মনে হচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় সব কিছুর সাথে সাথে পোশাকের দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলা সদরের লক্ষী স্কয়ারে শৈশব ফ্যাশন লিমিটেডের ম্যানেজার রঞ্জিত দেব বলেন, স্মার্ট গ্রুপের নিজস্ব মালিকানাধীন আমাদের সকল প্রকার পোশাক অত্যাধুনিক মানসম্মত। প্রতিটি পোশাকই ক্রেতাদের আকৃষ্ট করছে। উপজেলা সদরের লক্ষী স্কয়ারে লাকী কর্নারের স্বত্বাধিকারী মো. হাসান নুর ও উডল্যান্ড- লাইকি শপিংমলের মো. খোরশেদ আলম বলেন, দেশীয় পোশাকের চেয়ে ভারতীয় কাপড়ের ছোট-বড় পাঞ্জাবি, জিন্স প্যান্ট, টি-শার্ট, পায়জামা, শাড়ি ও বিভিন্ন রকমের থ্রিপিস বেশি পছন্দ করছে ক্রেতারা। বিক্রি ভালো হওয়ায় বিভিন্ন দোকানের মালিকও সন্তুষ্ট রয়েছেন। প্রথম দফায় আনা পোশাক বিক্রি প্রায় শেষ। বাঁশখালী থানার ওসি মো. কামাল উদ্দিন পিপিএম জানান, আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন বাজারে ক্রেতাসাধারণের নিরাপদ কেনাকাটা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ টিম মাঠে সজাগ রয়েছে।

পটিয়া (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদর ও উপজেলার ছোট বড় মার্কেটগুলোতে সকাল থেকে রাত ১টা পর্যন্ত ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। ফলে প্রতিটি মার্কেটে নারী-পুরুষ ক্রেতাদের রয়েছে প্রচুর ভিড়। পৌর সদরের আলম প্লাজা, চৌধুরী মার্কেট, তৈয়বিয়া মার্কেট, আবুল কাশেম মার্কেট, দেলাল মিয়া শপিং, গুলজার সুপার মার্কেট, আর এন মার্কেট, পটিয়া সিটি, পটিয়া নিউমার্কেট, শাহ আমির মার্কেট, রহমান মার্কেট, পটিয়া সুপার মার্কেট, জাকির টাওয়ার, এনজে শপিং কমপ্লেক্স, সবুর মার্কেট, ছমদিয়া সুপার মার্কেট, হাজী শপিং কমপ্লেক্স থেকে পছন্দের শাড়ি, শার্ট, থ্রিপিস কিনতে ক্রেতারা পছন্দের পোশাক কিনতে ছুটে চলেছেন।

এবার মার্কেটে রয়েছে দিল্লি স্টাইলের থ্রিপিস, বিভিন্ন স্কার্ট, লেহেঙ্গা, খুশি থ্রিপিস, রঙ-ফ্রক, বিশালা, থ্রিপিস, কোপি সেট, পাখি ফ্রগ, বাবা সেট, কোকি ফ্রকসহ বিভিন্ন ধরনের জামা। এসব জামা সাজিয়ে রেখেছে পৌর সদরের শাহ আমির মার্কেটের বড় বাজার, রহমান মার্কেটের পলাশ গার্মেন্টস, ফ্যাশন প্লাজা, আইয়ুব ব্রাদার্স, পটিয়া নিউ মার্কেটে বিয়ের বাজার, তৈয়্যবিয়া মার্কেটে নিউ শাড়িকা, স্বপ্ন, ননী সুপার মার্কেটের মনে রেখোর প্যাভিলিয়ন, গুলজার সুপার মার্কেটে আলভি ফ্যাশন, লেডিস ফ্যাশন, ওড়না হাউস। পৌর মেয়র মোহাম্মদ আইয়ুব বাবুল বলেন, রমজান মাসে ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে ব্যবসা পরিচালনা করার সুবিধার্থে পুলিশ প্রশাসন ও পৌরসভার সহযোগিতায় একটি টিম গঠন করা হয়েছে। এ টিম ব্যবসায়ীদের নানা সুযোগ সুবিধা প্রদান করবে।

পটিয়া থানার ওসি প্রিটন সরকার জানিয়েছেন, ঈদ মার্কেটে বখাটে কিংবা কোন চাঁদাবাজির অভিযোগ পেলেই তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পটিয়া সদর ও উপজেলার ছোট বড় মার্কেটগুলোতে অতিরিক্ত টহল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এসব পুলিশের পাশাপাশি থাকছে গোয়েন্দা পুলিশ। ফলে মার্কেটের সামনে কোন বখাটে ইভটিজিং কিংবা কোন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে চাঁদাবাজির চেষ্টা করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মধুখালী (ফরিদপুর) : সরেজমিন মধুখালী পৌর সদরে অবস্থিত মধুবন শপিং মল, কবির মার্কেটসহ কয়েকটি সপিং মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতাদের বেশ ভিড়। ব্যস্ত সময় পার করছেন দোকানিরা। আবার ভিন্ন চিত্রও লক্ষ্য করা গেছে, ক্রেতার অপেক্ষায় অলস সময় পার করছেন বেশ কিছু দোকানদার।

কয়েকজন ক্রেতার সাথে কথা বললে তারা জানান, পৌর সদরের সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদের সদস্য সুরাইয়া সালাম বলেন তুলনমূলকভাবে কাপড়ের দাম অনেক বেশি। তারপরও নিতে হচ্ছে কারণ পরিবারের জন্য ক্রয় করতে আসছি খালী হাতেতো আর ফিরে যেতে পারি না, দাম যাই হোক নিতে হবেই। কিছু খুদে ক্রেতাদের অনুভূতি জানতে চাইলে তারা জানান আমরা বাবা-মার সাথে মার্কেট করতে আসছি। পছন্দের জামাকাপড় নিতে পেরে আমরা খুব খুশী। অপর দিকে বাটা শো রুমের বিক্রেতা মো. ফরিদ মিয়া জানান, পোশাকের সাথে মিল করে সাধারণত ক্রেতাগণ জুতা স্যান্ডেল ক্রয় করেন। সে কারণে এখনও বিক্রয় জমে উঠে নাই। তবে ক্রেতার চাহিদা মতো জুতা স্যান্ডেল মজুত আছে। জ্যোতি ফ্যাশনের বিক্রেতা বিজুন কুমার সাহা বলেন, এ ঈদে অর্ধকোটি টাকা বিক্রয় হবে বলে আশা করছি, দাম যাই হোক, বেচাকেনা খুব ভালো। রাকিব ফ্যাশানের স্বত্বাধিকারী রাকিব হোসেন বলেন, দাম একটু বেশি হলেও বিক্রয় ভালো। যেভাবে কেনা সে অনুযায়ী বিক্রয় করছি। আশা করছি, এ বছর ঈদে লাভের মুখ দেখব। আলীফ কসমেটিক-এর স্বত্বাধিকারী মো. তৌফিক বিশ্বাস বলেন, সাধারণত ক্রেতাগণ ঈদের সর্বশেষ কেনাকাটা আমাদের এখানেই শেষ করেন পছেন্দের কসমেটিক ক্রয় করে। সে তুলনায় আমাদের বেচাকেনা ভালো। শেষ মুহূর্তে বেচাকেনা আরো ভাল হবে বলে আশা করছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত