মডেল মসজিদ উদ্বোধন ১৭ এপ্রিল

প্রকাশ : ১৪ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় বর্তমান সরকার। এর ধারাবাহিকতায় গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায়ও মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। মডেল মসজিদটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় দিন গুনছে। উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় বর্তমান সরকার। গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়নকারী সংস্থা ইসলামিক ফাউন্ডেশন এসব মডেল মসজিদের কাজ শুরু করে। এ ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালে ২২ অক্টোবর কালিয়াকৈর উপজেলা মডেল মসজিদের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদের নির্র্মাণ ব্যয় ১৭ কোটি টাকার ওপরে। প্রায় ৪০ শতক জমির ওপর তিন তলাবিশিষ্ট ‘বি’ ক্যাটাগরি এ মডেল মসজিদের গ্র্যান্ড ফ্লোরের আয়তন ১২ হাজার ৫০০ বর্গফুট, প্রথম তলার আয়তন শাহানস্পেসসহ ১ হাজার ২০০০ বর্গফুট, দ্বিতীয় তলার আয়তন ৮ হাজার বর্গফুট। দৃষ্টিনন্দন ভবনটির মোট আয়তন ৩২ হাজার ৫০০ বর্গফুট। আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাসহ মডেল মসজিদে থাকছে ইসলামিক সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সে পাঠাগার, গবেষণা কেন্দ্র, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, পবিত্র কোরআন হেফজ বিভাগ, শিশুশিক্ষা, অতিথিশালা, পর্যটকদের আবাসন, মৃতদেহ গোসলের ব্যবস্থা, ইমামদের প্রশিক্ষণ, গণশিক্ষা কেন্দ্র ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবে একটি পূর্ণাঙ্গ কমপ্লেক্স। দ্বিতীয় তলায় মূল নামাজ কক্ষ, কনফারেন্স রুম, ওজুখানা, টয়লেট, উপ-পরিচালকের কক্ষ, হিসাব কক্ষ। তৃতীয় তলায় পুরুষ ও মহিলাদের পৃথক পৃথক নামাজ কক্ষ, মক্তব কক্ষ, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, ইমাম মোয়াজ্জিন, খাদেম, শিক্ষক ও সাধারণ কর্মচারীদের কক্ষ, অতিথিদের কক্ষ। উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিদর্শক আবু জাফর আল ফারুকি জানান, এরই মধ্যে এ মসজিদের জন্য পেশ ইমাম, মুয়াজ্জিন, খাদেম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।

তবে আগামী ১৭ এপ্রিল এ মডেল মসজিদটি উদ্বোধন করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব মডেল মসজিদ উদ্বোধন করবেন। এরপর এটি উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। এছাড়া উদ্বোধনের আগে অবৈধ সিএনজি স্টেশন, দোকানপাটগুলো উচ্ছেদ করা হবে। আর নর্দমার বিষয়টি পৌরসভাকে জানানো হয়েছে। পৌরসভা বিষয়টি দেখবে।