পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে বগুড়ায় আমদানি বেড়েছে কলার। জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চন্ডিহারা ওফাঁসিতলায় ক লার দুই মোকামে প্রতি হাটবারে বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৬০ ট্রাক কলা, যার বাজারমূল্য কোটির টাকারও বেশি। সপ্তাহে দুই দিন বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের পাশে বসে কলার এ জমজমাট হাট। এ হাট থেকে ব্যবসায়ীরা কলা কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে থাকেন।
চন্ডিহারা হাটে আসা শিবগঞ্জ ও সোনাতলা উপজেলার কলা চাষি সবুজ ব্যাপারী জানান, পেশায় তারা চাষি। বাজারে এখন কলার ভালো দাম পাওয়া যায়। যে কারণে অনেক চাষিরা কলা চাষে ঝুঁকছেন। তারা নিজেরাও কলা চাষ করেন এবং চন্ডিহারা ও ফাঁসিতলা মোকাম করেন। চন্ডিহারা মোকাম থেকে প্রত্যেক হাটবারে গড়ে ২০ থেকে ২৫টি ট্রাক ও ফাঁসিতলা থেকে গড়ে ৩০ থেকে ৩৫টি ট্রাকের মতো কলা বিক্রি হয়।
হাটে আসা পাইকার রশিদ তালুকদার জানান, বগুড়ার শিবগঞ্জের চন্ডীহারা ও ফাঁসিতলায় কলার প্রতি হাটে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ ট্রাক কলা পাইকারদের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। প্রতি ট্রাকে গড়ে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ লাখ টাকার কলা লোড হয়ে থাকে। তবে পরিবহণ ভাড়া অতিরিক্ত হওয়ায় লাভের মুখ তেমন দেখতে পায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বর্তমানে প্রতি ঘাউর অনুপম কলা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, চিনি চাম্পা ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা এবং সাগর কলা ২০০ থেকে ৩০০ টাকা দরে কেনাবেচা হচ্ছে। সপ্তাহের শনি ও বুধবার বসে চন্ডিহারা হাট। সোম ও শুক্রবার ফাঁসিতলা। তবে বাজারের যথেষ্ট সমস্যা রয়েছে। কারণ বাজার বসার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই। ফলে মহাসড়কের দুই পাশ দিয়ে স্থানীয়রা বাজার বসাতে বাধ্য হন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী পরিচালক কৃষিবিদ মো. ফরিদুর রহমান জানান, চলতি বছর কৃষক কলা চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর কলার ভালো ফলন হয়েছে। সারা বছরই কলার চাষ হয়ে থাকে। চলতি মৌসুমে জেলায় ১ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে। প্রতি হেক্টরে প্রায় ১৯ টন করে ফলন ধরা হয়েছে। সেই হিসেবে শুধু বগুড়াতেই ফলন হবে ২০ হাজার ৯০০ টন কলা।