ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

স্বস্তির মহাসড়কে দুর্ভোগের আশঙ্কা

স্বস্তির মহাসড়কে দুর্ভোগের আশঙ্কা

দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক। সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়ায় এখন স্বস্তির মহাসড়ক এটি। অথচ মহাসড়কের ওপর হাটবাজার ও ফুটপাতে অবৈধ দোকানপাট, থ্রিহুইলার উচ্ছেদ না করা হলে এবার ঈদযাত্রায় দুর্ভোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে দুর্ভোগ লাঘবে অবৈধ হাট-বাজার দোকানপাট, থ্রি-হুইলার, বিভিন্ন যানের স্টেশন উচ্ছেদ করে মহাসড়কটি দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কটি। এক সময়ের যানজট আর দুর্ভোগের মহাসড়ক ছিল এটি। এ মহাসড়কের কালিয়াকৈর অংশে সবচেয়ে বেশি ঈদ, পূজাসহ জাতীয় বিভিন্ন দিবসের ছুটিতে যানজটে নাকাল অবস্থা ছিল। বিপুল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হলেও ফলাফল ছিল প্রায় শূন্যের কোটায়। দুর্ভোগ মাথায় নিয়েই উত্তরবঙ্গের প্রায় ২২ জেলার যানবাহন এ পথেই রাজধানীতে চলাচল করে আসছিল। বিভিন্ন স্থানে দু’পাশে ফুটপাত ও ফুটওভার ব্রিজের দু’পাশ দখল করে বসছে দোকানপাট। এছাড়াও নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিকশা, সিএনজি, মাহিন্দ্রসহ বিভিন্ন অবৈধ যানবাহন। এসব যানবাহনের স্টেশনও মহাসড়কের ওপরেই। এসব থেকে প্রতিনিয়ত ও মাসিক চাঁদা হাতিয়ে নিচ্ছে হাইওয়ে পুলিশসহ সরকারদলীয় অংগসংগঠনের কিছু নেতাকর্মী। চাঁদা দিয়ে দাপটের সঙ্গে হাটবাজার ও দোকানপাট করছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারাও ওই সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে ঝুঁকি নিয়ে কেনেন পণ্য। মাসোহারা দিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ থ্রি-হুইলারও। অপরদিকে একাধিক স্থানে সার্ভিস রোডের ওপর প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কারখানার মালবাহী কাভার্ডভ্যান ও বালু রেখে দেদারসে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ী চক্র। এসবের কারণে মহাসড়কটি সংকুচিত হয়ে বিভিন্ন স্থানে জটলা সৃষ্টি হচ্ছে, ঘটছে প্রায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনাও। আর কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। এখনো মহাসড়কের এসব নানামুখী সমস্যার সমাধান করা হয়নি। এসব হাটবাজার, দোকানপাট, থ্রি-হুইলার, যানবাহন স্টেশন, বালু উচ্ছেদ করা না হলে এবার ঈদযাত্রায় স্বস্তির মহাসড়কটি অস্বস্তিতে পরিণত হবে। এছাড়াও যত্রতত্র গাড়ি পাকিং, এলোমেলো যাত্রী উঠানামা, মহাসড়ক ঘেঁষে ময়লা-আবর্জনার স্তূপের কারণে অনেকটাই বাধাগ্রস্ত হচ্ছে সরকারের উন্নয়ন। এসব সমস্যাগুলো উচ্ছেদের মাধ্যমে সমাধান না হলে এবার ঈদে দুর্ভোগের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপে ও নানামুখী সমস্যার কারণে এ মহাসড়কে দুর্ভোগ বাড়বে বলেও জানান স্থানীয়রা। তবে দুর্ভোগ লাঘবে এসব নানামুখী সমস্যা উচ্ছেদ করে মহাসড়কটি দখলমুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন, পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকরা। মহাসড়কে এসব নানামুখী সমস্যা থাকার বিষয়টি স্বীকার করে সালনা (কোনাবাড়ি) হাইওয়ে থানার (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি আজকালের মধ্যেই উচ্ছেদের মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান করা হবে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরলস পরিশ্রমে গত ঈদের মতো এবার ঈদেও নির্বিঘ্নে ও স্বস্তিতে ফিরবে ঘরমুখো মানুষ।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, মহাসড়কের এসব সমস্যার বিষয়গুলো নিয়ে ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত