নওগাঁয় প্রচণ্ড খরায় পাকছে ধান ফলন কম হওয়ার শঙ্কা

প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আব্বাস আলী, নওগাঁ

সারা দেশের ন্যায় উত্তরের বরেন্দ্র জনপদ নওগাঁয় প্রচণ্ড তাবদাহ বিরাজ করছে। প্রচণ্ড গরমে ইরি-বোরো ধান পাকার আগেই পেকে যাচ্ছে এমন অবস্থা। ধান গাছের পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে। এতে ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। অনাবৃষ্টিতে পানির স্তুর নিচে নেমে যাওয়ায় সেচ পাম্পগুলোতে পানিও কম উঠছে। এদিকে কৃষি অফিস থেকে বোরো জমিতে পর্যাপ্ত পানি দেয়ার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। তবে সহসাই বৃষ্টি না হলে ধানের উৎপাদন কিছুটা কম হবে। নওগাঁর বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কেন্দ্রের তথ্য মতে জেলায় গত কয়েক দিন সর্বোচ্চ ৩৫ থেকে ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে। প্রখর রোদের তাপে বের হওয়া ধান চিটা হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ধান ঘরে তোলার আগ মুহূর্তে ফলন বিপর্যয়ের দুশ্চিন্তা চাষিদের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে জেলায় জিরাশাইল, ব্রিআর-২৮, ৪৮, সুবর্ণ লতা ও হাইব্রিড জাতের ধানের আবাদ করা হয়েছে। এ বছর জেলায় ১ লাখ ৯০ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে, যা থেকে প্রায় সাড়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের সম্ভবনা রয়েছে। চাষীরা বলছেন, প্রচণ্ড গরমে বোরো ধান গাছের পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে। গরমে ধান পরিপুষ্ট না হয়ে পাকার আগেই পেকে যাচ্ছে। এতে ধান কিছুটা চিটায় পরিণত হচ্ছে। ফলে ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে অনাবৃষ্টিতে পানির স্তুর নিচে নেমে যাওয়ায় সেচ পাম্পগুলোতে পানিও কম উঠছে। ধান বাঁচাতে তাদের বাড়তি সেচ দিতে হচ্ছে। সদর উপজেলার হারিয়াগাছী গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদ বলেন, অতিরিক্ত খরার কারণে ধানের পাতা শুকিয়ে যাচ্ছে। ধানের শিষ বড় হতে পারেনি। আবার যেসব ধান বেরিয়ে সেগুলোর কিছুটা শুকিয়ে চিটায় পরিনত হয়েছে। এতে করে ফলন কিছুটা কম হতে পারে। পর্যাপ্ত পরিমাণ বৃষ্টি না হলে ধানের জন্য ক্ষতিকর হবে। দীঘলির মাঠের গভীর নলকুপের অপারেটর ইনতাজ বলেন, পানি স্তুর নিচে নেমে যাওয়ায় কিছুটা কম পানি উঠছে। বোরো জমিতে এখনো ২-৩টা সেচ দিতে হবে। পানির পরিমাণ কম উঠায় সময়ও বেশি লাগছে। লোডশেডিং হওয়ায় আরো সময় লাগছে। শৈলগাছী গ্রামের মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, মাঠের ধান মোটামুটি ভালো হয়েছে। রোগ বালাইয়ের পরিমাণও কম। গত বছরে প্রাকৃতিক দূর্যোগে বোরো ফসলের ক্ষতি হওয়ায় লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে চাষাবাদ করতে হয়েছে। এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় এবং গরমের কারণে ধানের রোগবালাই কম হয়েছে। এতে কীটনাশকের খরচও কম পড়েছে।