ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শ্যামনগরে বহে যাওয়া আদি যমুনা নদী পুনঃখনন নিয়ে তোলপাড়

শ্যামনগরে বহে যাওয়া আদি যমুনা নদী পুনঃখনন নিয়ে তোলপাড়

যমুনা পুনঃখননের নামে সরকারের প্রায় ৪ কোটি টাকা পানিতে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে দাবি আসংখ্য ফেইসবুক ব্যবহারকারীদের। যমুনার দুই পাশে বসবাসরত নিম্নবিত্ত ও অসহায় পরিবারগুলোর স্থাপনা অপসারণ করা হলেও বিত্তবান এবং প্রভাবশালীদের অবৈধ স্থাপনা অক্ষত থাকছে বলে অভিযোগ সমালোচকদের। এমনকি সরকারি বরাদ্দের পুনঃখনন কাজে দায়িত্বপ্রাপ্তরা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের ভয় দেখিয়ে এবং অবৈধ স্থাপনা টিকিয়ে রাখার প্রাতিশ্রুতিতে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছে আনেক ফেসবুক ব্যবহারকারীর দাবি। শুরুতে এমন সমালোচনা কম হলেও পুনঃখনন কাজ শ্যামনগর সদরের কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার পর গত কয়েক দিন তা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। হরিলুট চলছে আভিযোগ তুলে পুনঃখননরত কাজ সফল করে যমুনা দখল করে নির্মিত যাবতীয় অবৈধ স্থাপনা অপসারণের দাবিতে জেলা প্রশাসক, সংসদ সদস্য এবং শ্যামনগর পৌরসভা বাস্তবায়নের মূল প্রচেষ্টাকারী চেয়ারম্যান আ্যডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবুর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিভিন্ন মহল। জানা গেছে শ্যামনগর থেকে কাকশিয়ালী নদী পর্যন্ত প্রায় ১৫.৯ কিলোমিটার যমুনা পুনঃখনন কাজ গত জানুয়ারি থেকে শুরু হয়। ৩ কোটি ৯১ লাখ টাকায় পনি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স প্রা. লি. নামীয় প্রতিষ্ঠান কাজটি সম্পন্ন করছে। ৩১ মে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হতে চললেও অদ্যাবধি শ্যামনগরের চন্ডিপুর থেকে নকিপুর শ্মাশনঘাট পর্যন্ত কাজ তেমন কোনো আগ্রগতি নেই।

অভিযোগ উঠেছে, ইতঃপূর্বে বিস্তীর্ণ ফাঁকা এলাকা দিয়ে বহে যাওয়া যমুনা নিবিঘেœ পুনঃখনন করলেও আবশিষ্ট অংশজুড়ে কাজে ডিলেমি করা হচ্ছে। মূলত বাকি অংশের যমুনার ওপর অবৈধ স্থাপনার ছড়াছড়ি হওয়ায় শেষ মুহূর্তে এসে কাজের গতি মন্থর হয়েছে। ফেসবুক ব্যবহারকরীদের দাবি, কয়েকটি অসহায় ও গরিব পরিবারের ঝুপড়ি ঘর ও সামান্য কিছু গাছ-গাছালি অপসারিত হলেও কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে গড়ে তোলা পাকা অবৈধ স্থাপনা বাঁচানোর চেষ্টা চলছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব থাকা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার যোগসাজশে এমন ঘটনা ঘটছে বলেও আভিযোগ অনেকের।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত