নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিএফ-এর চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী। ২০২২-২৩ অর্থবছরে মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় নওগাঁয় ১০ কেজি হারে বিনামূল্যে ভিজিএফ এর খাদ্যশস্য (চাল) বিতরণ করা হয়। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে ২ হাজার ১১৮ জন উপকার ভোগীর মাঝে ১০ কেজি হারে চাল বিতরণ করার কথা। অনেক উপকারভোগী বলেন, চাল কম দেয়ার কথা বললে চেয়ারম্যান ও তার লোকজন আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ মতে, এই ভিজিএফ চাল প্রকৃত গরিব অসহায় দুস্থদের দেয়ার কথা থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অমান্য করে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা প্রকৃত গরিব অসহায় দুস্থদের কার্ড না দিয়ে চাল ব্যবসায়ীদের কার্ড দিয়েছেন। আর সেই কার্ড দিয়ে চাল ব্যবসায়ীরা এলাকার ছোট-বড় বিভিন্ন বয়সি নারী-পুরুষদের দিয়ে একাধিকবার চাল তুলছেন। চাল বিতরণের সময় মিঠাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজসহ ইউপি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। ট্যাগ অফিসার ও সচিবের দেখা মেলেনি। প্রতিবেদক চেয়ারম্যানকে ট্যাগ অফিসারের কথা বললে তিনি বলেন, ট্যাগ অফিসার এখনো আসেনি। পরে বেলা ১২টায় ট্যাগ অফিসার উক্ত পরিষদে আসেন। উপকারভোগীদের চাল কম দেয়া হচ্ছে ও একই ব্যক্তি একাধিকবার চাল তুলছেন, এ ব্যপারে জানতে চাইলে ট্যাগ অফিসার উপজেলা সহকারী ইনস্ট্রাক্টর প্রেম কুমার বলেন, আমি অসুস্থজনিত কারণে আমার আসতে দেরি হয়েছে। উপকারভোগীদের চাল কম দিচ্ছে কি না এটা আমার দেখার বিষয়। একই ব্যক্তি একাধিকবার চাল তুলছেন সেটা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা বলতে পারেন বলে চাল বিতরণ শেষ না করেই বেলা দুটায় তিনি চলে যান। এ ব্যাপারে মিঠাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে সারা দেশে ১০ কেজি হারে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়। আমাদের ইউনিয়নেও সুষ্ঠভাবে ভিজিএফ-এর ১০ কেজি চাল বিতরণ করা হয়েছে। চাল কম দেয়ার কথা বললে তিনি অস্বীকার করে বলেন, যদি কোনো উপকারভোগী চাল নিয়ে বাইরে গিয়ে ওজন কম হয়েছে বললে সেটা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।
