ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দাবদাহে পুড়ছে দিনাজপুর

বৃষ্টির আশায় ইশতেসকার নামাজ

বৃষ্টির আশায় ইশতেসকার নামাজ

সাতদিন ধরে টানা তীব্র দাবদাহে দিনাজপুরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রোজাদার মানুষদের কষ্ট অসহনীয় পর্যায় পড়েছে। সূর্যের আলোকরশ্মির প্রখরতা, উত্তপ্ত গরম মানুষের শরীর যেন সিদ্ধ হওয়ার উপক্রম। হয়েছে আবহাওয়ার পালাবদল। গত ১ মাস আগে উত্তরের জেলা দিনাজপুরে যেখানে তাপমাত্রা ছিল ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে মাস খানেক পরেই আবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯-এর কোঠায়। তীব্র গরম থেকে পরিত্রাণ পেতে দিনাজপুর শহরের রামনগর ঈদগাঁ মাঠে বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইশতেসকার নামাজ ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার সময় রামনগর এলাকার যুব সমাজের আয়োজনে ইসতেশকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। বিরল শংকরপুর মসজিদের ইমাম হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মোয়াক্ষিরের ইমামতিতে নামাজে শতাধীক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন। সাইফুজ্জামান সুমন নামের স্থায়ী বাসিন্দা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে অনাবৃষ্টি ও তীব্র দাবদহের কারণে জনজীবন কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। সালাম মিয়া বলেন, এ রকম তাপমাত্রা আগে কখন দেখিনি। রমজানে মনে হচ্ছে আমাদের ওপর গজব নেমে আসছে।

সত্তর বছর বয়সি হাফিজুল ইসলাম বলেন, গরমে খুব কষ্ট হচ্ছে। রাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না। আর শরীরটা অসুস্থ করে দিচ্ছে। তাই বৃষ্টির জন্য আমরা মাঠে সমবেত হয়েছি। আমরা নামাজ আদায় করে পানি হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি। মামুনুর রশিদ বলেন, এখন খুব তাপমাত্রা। জনজীবন খুব কষ্টে আছে। সাড়াদিন রোজা থাকতেও খুব কষ্ট হচ্ছে। আমরা আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করেছি আল্লাহ যেন রহমতের বৃষ্টিবর্ষণ করে। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন এ ইশতেসকার সালাতের মাধ্যমে মহান আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করবেন। বৃষ্টির দেখা পাব- এটাই বিশ্বাস। হাফেজ আব্দুল্লাহ আল মোয়াক্ষির বলেন, রাসুল (সা.) অনাবৃষ্টি ও দুর্ভিক্ষের জন্য সাহাবিদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইশতেসকার সালাত আদায় করেছিলেন। নবী রাসুলের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরার জন্য বর্তমান বাংলাদেশে অনাবৃষ্টি দেখা দিয়েছে। আমরা খোলা মাঠে সালাতুল ইশতেসকা নামাজ আদায় করেছি। এদিকে দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় দিনাজপুরে ৩৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত