ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গোপালগঞ্জে ব্রি’র ১৮টি উন্নত জাতের ধানের প্রদর্শনী : নজর কাড়ছে পথিকের

গোপালগঞ্জে ব্রি’র ১৮টি উন্নত জাতের ধানের প্রদর্শনী : নজর কাড়ছে পথিকের

কাঁচাপাকা ধানের অপরূপ সৌন্দর্যে কৃষকদের নজর কাড়ছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট’ ব্রি’র গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কেন্দ্র। ব্রি উদ্ভাবিত ১৮টি উন্নত জাতের সবুজ ও সোনালী ধানের প্রদর্শনী প্লটে সারিবদ্ধভাবে রোপিত ধানের শীষে রাশি রাশি ধান শোভা পাচ্ছে। ধানের গাছ থেকে ছড়াচ্ছে অপরূপ শোভা। কৃষকদের ব্রি উদ্ভাবিত গোপালগঞ্জ ও এর পার্শবর্তী এলাকায় আবাদ উপযোগী এই ধানের সঙ্গে কৃষকসহ সবাইকে পরিচয় করানোর জন্য এই ব্যবস্থা। ধানের এমন ফলন ও সৌন্দর্য দেখে আগ্রহভরে কৃষক এই সব জাতের ধানের খোঁজ নিচ্ছেন। তারা এসব ধান আগামী বোরো মৌসুমে আবাদের আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এই কারণে গোপালগঞ্জসহ ৩ জেলায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত ধানের জাতের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনের খোলা জায়গায় ব্রি উদ্ভাবিত ১৮টি জাতের ধানের এই প্রদর্শনী প্লট করা হয়েছে। এই কার্যালয়ের পাশ দিয়ে ঢাকা- গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া-পিরোজপুর ব্যস্ত মহাসড়ক চলে গেছে। এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী কৃষক, কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত ব্যক্তি ও পথিককে এই ধান আকৃষ্ট করছে। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয় ২০১৯ সালে গোপালগঞ্জে কার্যক্রম শুরু করে। এই কার্যালয় থেকে গোপালগঞ্জ, নড়াইল ও বাগেরহাট জেলায় ব্রি ধানের নতুন নতুন জাত ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি বিনামূল্যে বীজ, সার বিতরণ, কৃষক প্রশিক্ষণ, কৃষকের মাঠ সরেজমিনে পরিদর্শন করে পরাামর্শ দিচ্ছে। এতে ৩ জেলায় ক্লাইমেট স্মার্ট নতুন নতুন জাতের সাথে কৃষক পরিচিত হচ্ছে। এসব জেলায় ধানের উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে কৃষকের আয় বাড়ছে। ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ও ব্রি’র ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম বলেন, গোপালগঞ্জ, নড়াইল ও বাগেরহাট জেলায় ধানের উৎপাদন বৃদ্ধিতে আমরা কাজ করছি। চলতি বোরো মৌসুমে আমরা আমাদের অফিসের সামনে ব্রি উদ্ভাবিত ব্রিধান-৫০, ব্রিধান-৫৮, ব্রিধান-৬৩, ব্রিধান-৬৭, ব্রিধান-৭৪, ব্রিধান-৮১, ব্রিধান-৮৬, ব্রিধান-৮৮, ব্রিধান-৮৯, ব্রিধান-৯২, ব্রিধান-৯৬, ব্রিধান-৯৭, ব্রিধান-৯৯, বঙ্গবন্ধু ধান-১০০, ব্রিধান-১০১, ব্রিধান-১০২, ব্রি হাইব্রিড ধান-৩ ও ব্রি হাইব্রিড ধান-৫সহ ১৮টি জাতের প্রদর্শনী প্লট করেছি। ওই প্লটে ধান খুবই সুন্দর হয়েছে। প্রদর্শনী প্লটের ধান দেখে কৃষকরা আগামী বছর এসব জাতের ধান আবাদের আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আমাদের কাছে তারা বীজ চাইছে। তাই আগামী মৌসুমে আমাদের বীজের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া গ্রামের কৃষক জব্বার মিয়া (৬০), টুঙ্গিপাড়া উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের রহমত আলী (৫৫), বাগেরহাট জেলার বড়গুনী গ্রামের শাহজাহান মিয়া (৪৫), নড়াইল জেলার বাগুডাঙ্গা গ্রামের মহসিন মল্লিক (৫৮) বলেন, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের গোপালগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনের ধানের প্রদর্শনী প্লট দেখে আমাদের চোখ জুড়িয়ে গেছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত