টাঙ্গাইলে লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ

প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রঞ্জন কৃষ্ণ পণ্ডিত, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

টাঙ্গাইলে বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। সাহরি, ইফতার ও তারাবিতেও বিদ্যুৎ না থাকায় রোজাদাররা অসহনীয় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। লাগামহীন লোডশেডিংয়ে অনেকের খামারের মুরগি হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে চলতি বোরো চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ গ্রিডে সর্বোচ্চ ৩৫০ মেগাওয়াট ও সর্বনিম্ন ২১০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে ১৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে। ফলে কর্তৃপক্ষ লোডশেডিং দিতে বাধ্য হচ্ছেন। সরেজমিনে জানা যায়, সাহরি ও ইফতারের সময় টানা তিন থেকে চার ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে তারাবি নামাজ আদায় করতে মুসল্লিরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ফলে সেচ পাম্প বন্ধ থাকায় বোরো চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে। অনেকের খামারের মুরগি মারা যাচ্ছে। শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুতের লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। একাধিক কৃষক জানান, বিদ্যুৎ না থাকায় সেচ পাম্পের মালিকরা জমিতে পানি দিতে পারছে না। জমিতে পানি না দিতে পারলে ধানের আবাদও ভালো হবে না। অনেক দিন ধরে বিদ্যুতের এ অবস্থা চলছে। অল্প সময়ের জন্য বিদ্যুৎ পেলেও মেশিনের ইঞ্জিন চালুর হওয়ার পর পরই চলে যায়। এতে অনেক সেচপাম্পের মেশিনও জ্বলে যাচ্ছে। সেচ পাম্পের মালিকরা জানায়, এখন ক্ষেতে ক্ষেতে ধানের শীষ বের হচ্ছে। এখন পর্যাপ্ত পানির প্রয়োজন। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় পানি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। মেশিন চালু করে পানি ক্ষেতে নামার আগেই বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে বোরো ধানের ভালো ফলন হবে না। ফলে কৃষকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শুধু ধান নয়, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে সেচ মেশিনও বিকল হয়ে যাচ্ছে।

পোল্ট্রি খামারিরা জানায়, বিদ্যুৎ না থাকায় হিটস্ট্রোকে প্রায় খামারের মুরগি কম- বেশি মারা যাচ্ছে। বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে রাতে মুরগি ছটফট করতে থাকে বিধায় তাদেরও রাতজেগে থাকতে হচ্ছে। টাঙ্গাইল পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (পিডিবি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ওবায়দুল ইসলাম জানান, চাহিদার চেয়ে টাঙ্গাইল গ্রিডে বিদ্যুৎ কম পাওয়া যাচ্ছে।