ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঈদ ঘিরে সাড়া ফেলেছে গরিবের গোশত সমিতি

ঈদ ঘিরে সাড়া ফেলেছে গরিবের গোশত সমিতি

ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। ঈদ মানে আত্মার পরিশুদ্ধি, ধনী-গরিব, উঁচু-নিচু সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে সৌহার্দ্য ও সংহতি প্রকাশের এক উদার উৎসব। এ উৎসবে প্রায় ঘরেই রান্না হয়ে থাকে গরুর গোশত। কিন্তু বর্তমানে বাজারে দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য গরুর গোশত কেনা এখন অনেকটাই কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এই কষ্টসাধ্য ব্যাপারকে সহজ করতে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বিভিন্ন গ্রামে গড়ে উঠেছে গোশত সমিতি। এটা ‘গরিবের গোশত সমিতি’ নামেই বেশি পরিচিত। ঈদ ঘিরে সাধারণ মানুষের কাছে এ সমিতি এখন ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। জানা গেছে, বছরব্যাপী সামান্য করে টাকা সমিতিতে চাঁদা হিসেবে জমা করে। আর ঈদুল ফিতরের ১ থেকে ৪ দিন আগে জমা করা টাকায় গরু কিনেন। পরে সেই গরু জবাই করে মাংস ভাগ করে নেন সমিতির সদস্যরা। তবে চামড়া বিক্রির টাকায় পরের বছরের জন্য তহবিল গঠন করে সমিতির কার্যক্রম চলে। বড়ইবাড়ী গ্রামের লেবু মিয়া বলেন, গত ১০/১৫ বছর আগে বড়ইবাড়ি ও কোটামনি গ্রামের আমরা ২০ থেকে ২৫ জন মিলে ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে নাটিকা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতাম। ওই অনুষ্ঠান থেকেই আমরা নিম্ন ও মধ্যবিত্তের লোকজন গোশত সমিতির উদ্যোগ নেই। এরপর আমাদের দেখে ওই দুই গ্রামে আরো কয়েকটি সমিতি গড়ে উঠেছে। কোটামনি গ্রামের কামরুল ইসলাম বলেন, আমরা গরিব মানুষ। ঈদে পোলাপানগো কাপড়-চোপড় কিনে টেকা শেষ অইয়া যায়। কোনো মতে চিনি-সেমাই কিনি। আবার গোশত কিনুম কেমনে? যখন জানলাম সমিতি হয়েছে, তখন সমিতিতে নাম দিয়েছি। পাইকপাড়া গ্রামের সুরুজ মিয়া বলেন, আমাদের সমিতিতে ৭০ জন সদস্য।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত