ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঈদের ছুটিতে সৈকতে নেই পর্যটক

ঈদের ছুটিতে সৈকতে নেই পর্যটক

প্রতি বছর ঈদের ছুটিতে লাখো পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে এলেও এবারের ঈদের ছুটিতে নেই কোনো আশানুরূপ পর্যটক। ঈদের পর থেকে বেশকিছু পর্যটকের আগমন হলেও অধিকাংশই জেলার আশপাশের লোকজন। হোটেল-মোটেলসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা বলেছেন, ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে গত তিন দিনে অন্তত ২ লাখের বেশি পর্যটক সমাগম হলেও স্থানীয় পর্যটকের সংখ্যা বেশি। গতকাল সোমবার ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ হোটেল কক্ষ বুকিং রয়েছে। এদিকে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় সজাগ রয়েছে লাইফ গার্ড কর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ।

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রগুলোয় দেখা গেছে, দূর-দুরান্ত আশা পর্যটকের সংখ্যা কমে গেছে। কারণ, হিসেবে ব্যবসায়ীরা মনে করছেন প্রচণ্ড দাপদাহ আর ঈদের ছুটি পেয়েছে কম। পর্যটক ব্যবসায়ী মো. আবদুর রহমানের ভাষ্য মতে, পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলেছেন, এবারের ঈদে আশানুরূপ পর্যটক আসেনি। হয়তো আরো দুয়েক দিন পর আরো বেশি পর্যটক আসতে পারে। ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ হোটেল কক্ষ বুকিং রয়েছে।

সী সেফ লাইফ গার্ড সংস্থার সিনিয়র লাইফ গার্ড জয়নাল আবেদীন ভুট্টো জানান, যেসব পর্যটক কক্সবাজারে এসেছে এদের অধিকাংশ স্থানীয়। কক্সবাজার কলাতলী-মেরিনড্রাইভ সড়ক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মৌখিম খান বলেন, প্রতি বছর পর্যটকের যে ছাপ ছিল, এ বছর তেমনটি হয়নি।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, কক্সবাজারের ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেলের ৬০ থেকে ৭৫ শতাংশ রুম বুকিং হয়েছে। ভাড়ায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেয়া হচ্ছে। হোটেলগুলোয় দৈনিক ধারণক্ষমতা ১ লাখ ৬০ হাজার। পর্যটক আসতে শুরু করেছে। সন্ধ্যায় আরো বাড়বে। আবহাওয়া ভালো থাকলে আজকালের মধ্যে পর্যটকে ডুবে যাবে কক্সবাজার। ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেছেন, পর্যটন স্পট, হোটেল মোটেল জোন ও সৈকতে জোরদার রয়েছেন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (পর্যটন সেল) মো. মাসুম বিল্লাহ বলেন, জেলা প্রশাসনের একাধিক টিম ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত