ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশন হয় লিজা নামের এক গর্ভবতী নারীর। একাধিক আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুযায়ী তার গর্ভে ছিল যমজ শিশু। গত শুক্রবার প্রসব ব্যাথা হলে দুপুরে তার সিজার হয়। সিজারের পর চিকিৎসক জানান, তার গর্ভে যমজ নয়, বরং ছিল একটি শিশু। এর পরই শুরু হয় তুমুল হট্টগোল। ওই নারীর পরিবারের পক্ষ থেকে এক নবজাতক গায়েব করে দেয়ার অভিযোগ উঠে। লিজা নবীনগর উপজেলার আলেয়াবাদ গ্রামের ফরহাদ আহমেদের স্ত্রী। এ ঘটনার মধ্যদিয়ে হাসপাতালটি আবারো নতুন করে এক বিতর্কের সৃষ্টি করল। লিজার স্বামী ফরহাদ আহমেদ বলেন, আমার স্ত্রী উপজেলার স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক মেহেরুন্নেছার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওই সময় আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে তার গর্ভে দুটি সন্তান দেখা যায় বলে জানান চিকিৎসকরা। সর্বশেষ ১৮ এপ্রিল করা আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে গর্ভে দুটি সন্তান আসে। গত শুক্রবার লিজার প্রসব ব্যথা উঠলে তাকে শহরের খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাকে ডাক্তার নওরিন পারভেজ আল্ট্রাসনোগ্রাফি করেন। উনার রিপোর্টেও দুটি সন্তান দেখা যায়। পরে তিনি নিজেই লিজাকে অপারেশন থিয়েটারে সিজারিয়ান করেন। এর কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের লোকজন এসে জানান, আমার স্ত্রী একটি কন্যাসন্তান জন্ম দিয়েছে। তারা জানান, আমার স্ত্রীর গর্ভে একটি সন্তান ছিল। নবীনগরে আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে দুটি সন্তান এবং খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালেও দুটি সন্তানের কথা জানান। তাহলে আমার আরেক সন্তান গেল কোথায়? খ্রিষ্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের আল্ট্রাসনোগ্রাফি ও সিজারিয়ান করা চিকিৎসক নওরিন পারভেজ বলেন, আমি দুই জায়গায় হার্টবিট পেয়েছি।