নীলফামারী শহরের বুকে দাবড়ে চলা ১২ থেকে ১৬ চাকার পাথর, বালু, বাঁশভর্তি শত শত ট্রাক-ট্রাক্টর, অবৈধ ভটভটি, নছিমন, পাগলুর সাথে অটো রিকশার বিরামহীন যানজটের সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তা দখল করে থাকা ঢাকাগামী কোচগুলোর সৃষ্ট সীমাহীন দুর্ভোগ লাঘবে নড়েচড়ে বসেছে সংশ্লিষ্ট সব বিভাগ। ঈদুল ফিতরের কয়েক দিন আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের আহ্বানে অনুষ্ঠিত সভায় স্থানীয় সাংবাদিকরা ভোর ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত দানব আকৃতির ট্রাকগুলো শহরের ভেতর দিয়ে চলাচল বন্ধ রাখা যায় কি না, তার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। পুলিশ সুপার সভায় আস্বস্ত করেন, বিষয়টি নিয়ে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোকতপাত করার। তিনি কথা রাখেন। একদিন পরেই অনুষ্ঠিত সভাতে জোরালো দাবি ওঠে বিষয়টি নিয়ে। বরাবরের ন্যায় সিদ্ধান্ত আসে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধের। সভায় উপস্থিত প্রতিনিধিরা ভ্রƒরু কুচকান। কেউ কেউ আবার পক্ষ-বিপক্ষ নিয়েও মন্তব্য করেন। কিন্তু সন্ধ্যা নামতেই দানব ট্রাকের সঙ্গে ভারী যানবাহন চলাচল সীমিত হতে থাকে। পরের দিন রাত ১১টার আগে শহরে দানব আকৃতির ট্রাক আর খুব একটা চোখে পড়েনি। এদিকে রাস্তা দখল করে দাঁড়িয়ে থাকা ঢাকাগামী কোচগুলোর উটকো ঝামেলা সরাতে তড়িৎ উদ্যোগী হন পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ। আদেশ জারি করেন, রাস্তায় নয় এখন থেকে সমস্ত ঢাকাগামী কোচ অলস পড়ে থাকা নীলফামারী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে দাঁড়াবে। সেখান থেকেই যাত্রী ওঠানামা করতে হবে। ফলে শহরবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি আর সাংবাদিকদের লেখনির সুফল পেতে শুরু করেছেন শহরবাসী। জঞ্জালমুক্ত হতে থাকে এক সড়কের শহর নীলফামারী। তবে সড়ক আরো নিরাপদ ও শৃঙ্খলা ফেরাতে রিকশা, অটোরিকশা, ভ্যান, নছিমন ও ভটভটির লাগাম টানার দাবি তাদের। একই সঙ্গে বেপরোয়া অটোরিকশা শহর থেকে সরিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে স্ট্যান্ড ও অবৈধ ট্রলি ও ট্রাক্টরের অবাধ বিচরণ বন্ধ এবং বেপরোয়া মোটরবাইকারদের নিয়ন্ত্রণ করা না গেলে শহরের জঞ্জাল অনেকাংশেই থেকেই যাবে বলে অনেকের ধারণা। উল্লেখ্য যে, এ নিয়ে দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকায় শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি জেলায় সাড়া ফেলেছিল।