‘কক্সবাজারের দূষণরোধে এসটিপি স্থাপন অপরিহার্য’

প্রকাশ : ২৭ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  কক্সবাজার প্রতিনিধি

পর্যটকদের জন্য পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর শহর নিশ্চিত করতে ও সাগরের দূষণরোধে হোটেল-মোটেল জোনে দ্রুততম সময় এসটিপি স্থাপন অপরিহার্য বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার (অব.)। তিনি বলেন, মানবসৃষ্ট আবর্জনা ও স্যুয়ারেজ বর্জ্য নির্বিচারে সমুদ্রে নিক্ষেপ করে বর্তমানের যেভাবে সমুদ্র দূষণ করা হচ্ছে, তাতে করে আগামী এক দশকের মধ্যে কক্সবাজার উপকূলে ‘ডেড জোন’ তৈরি হওয়া আশঙ্কা রয়েছে, যার ফলে ব্লু-ইকোনোমি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

গতকাল বুধবার শহরে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (এসটিপি)/ ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) স্থাপন বিষয়ে হোটেল-মোটেল-গেস্ট হাউজ মালিক ও হ্যাচারি মালিকদের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সময় তিনি একথা জানান। কউক ভবনের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত সভায় কক্সবাজারের পরিবেশ দূষণচিত্র ও এসটিপি নিয়ে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন কউকের উপ-নগর পরিকল্পনাবিদ তানভীর হাসান রেজাউল। তিনি জানান, কউকের ১৩৪টি হোটেল-মোটেল/গেস্ট হাউজ/কটেজকে এসটিপি-সংক্রান্ত তথ্য প্রদানের জন্য পত্র প্রেরণ করা হয়েছিল। তন্মধ্যে মাত্র ছয়টি হোটেল এসটিপি স্থাপন করা হয়েছে জানিয়েছে এবং ৩৯টি হোটেল-মোটেল/গেস্ট হাউজ/কটেজ তিন চেম্বারবিশিষ্ট সেপটিক ট্যাংক রয়েছে বলে জানিয়েছে। বাকি ৮৯টি পত্রের বিপরীতে কোন জবাব পাওয়া যায়নি। পরে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন কউকের সদস্য (প্রকৌশল) লে. কর্নেল মো. খিজির খান পি ইঞ্জ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান, কক্সবাজার হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম শিকদার, সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ, মুকিম খান, শ্রিম্প হ্যাচারি এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নজিবুল ইসলাম প্রমুখ।