দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া থেকে আবারো কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে। প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর নির্ধারিত সময়ের আগেই খনি থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হলো।
এর আগে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১ হাজার ৩০৬ ফেইস থেকে ৫ লাখ ৫০ হাজার টন কয়লা উত্তোলনের পর তা বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় খনি কর্তৃপক্ষ জানায়, খনির কয়লা উত্তোলন বন্ধ একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। নতুন ফেইস উন্নয়ন করে কয়লা উত্তোলন শুরু করতে চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি সময় লেগে যাবে বলেও তখন জানানো হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত মঙ্গলবার বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ১ হাজার ১১৩ ফেইস হতে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। প্রথম দিকে পরীক্ষামূলকভাবে প্রতিদিন দেড় হাজার থেকে ২ হাজার টন কয়লা উত্তোলন হবে। পরবর্তী সময় প্রতিদিন ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টন করে কয়লা উত্তোলিত হবে বলে আশা করছে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএমসিএল) কর্তৃপক্ষ। ১ হাজার ১১৩ ফেইসটির রোডওয়ে উন্নয়নকাজ ২০২২ সালের জুলাই মাসে শুরু হয়। ওই সময় খনির ভূগর্ভের রোডওয়ে উন্নয়নকালে বেল্ট গেট এবং ওপেন অব কাট রোডওয়েতে বড়পুকুরিয়া খনি থেকে ফের অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে পরপর দুটি বড় ধরনের রুফফল (উপরিঅংশে ধস)। সংঘটিত হয়। এর ফলে বিসিএমসিএল ও চীনা কনসোর্টিয়াম ১ হাজার ১১৩ ফেইস তথা খনির সার্বিক নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা আগের ডিজাইন পরিবর্তন করে প্রায় ৯০ মিটার দৈর্ঘ্যরে নতুন ওপেন অব কাট নির্মাণকাজ শুরু করে। রুফফলের কারণে নতুন ওপেন অব কাট নির্মাণকাজের জন্য ওই ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করার পরিকল্পনা অনুযায়ী চলতি বছরের মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে পিছিয়ে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কয়লা উত্তোলনের সময় নির্ধারণ করা হয়। তবে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে জ্বালানি হিসেবে কয়লা সরবরাহের লক্ষ্যে নির্ধারিত সময়ের ২০ দিন আগেই এ ফেইস থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু করা সম্ভব হয়েছে। পেট্রোবাংলা এবং বিসিএমসিএল পরিচালনা পর্ষদের দিক-নির্দেশনায় বিসিএমসিএলের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, চীনা কনসোর্টিয়ামের কর্মকর্তা ও স্থানীয় শ্রমিকদের প্রচেষ্টায় আবারো দ্রুত কয়লা উত্তোলন শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
