মাদ্রাসা সুপারের গাফিলতিতে ২০ শিক্ষার্থীর দাখিল পরীক্ষা অনিশ্চিত

প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি

সুপার ও শিক্ষকদের গাফিলতির কারণে বগুড়ার শেরপুরে মধ্যভাগ ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ২০ শিক্ষার্থীর এবারের দাখিল পরীক্ষা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সঠিক সময় রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণ বাবদ ফি ও তথ্য নিয়েও মাদ্রাসার সুপার আকবর আলী মাদ্রাসা বোর্ডের দাফতরিক কাজ সম্পন্ন করেননি। তাই আগামীকাল রোববার থেকে অনুষ্ঠিতব্য দাখিল পরীক্ষার প্রবেশপত্র হাতে পাননি ওই শিক্ষার্থীরা। অথচ পরীক্ষার আর মাত্র ২৪ ঘণ্টা সময় বাকি রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পরীক্ষার প্রবেশপত্র না পেয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সঠিক সময়ে ফর্ম পূরণ করলেও, এখনো কেন তাদের প্রবেশপত্র আসেনি এই কারণ জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে কোনো সদুত্তর পাননি। এজন্য মাদ্রাসার সুপারসহ অন্যান্য শিক্ষকদের গাফিলতিকেই দায়ি করেন তারা।

আয়েশা খাতুন নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে পড়াশোনা করেছি। শিক্ষকরা যখন যে টাকা ও যে তথ্য চেয়েছেন তাই দিয়েছি। তারপরও আমরা পরীক্ষার প্রবেশপত্র হাতে পেলেম না। সময়ও নেই। এ অবস্থায় চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। তবে যে কোনো মূল্যে পরীক্ষা দিতে চান তারা। জানতে চাইলে মধ্যভাগ মাদ্রাসার সুপার আকবর আলী বলেন, আমি এখন (মাদ্রাসা বোর্ড) ঢাকায় আছি। বোর্ডের নির্দেশনা মতো, মাদ্রাসার শিক্ষকদের অবহেলার কথা উল্লেখ করে (শিক্ষার্থীদের নাম, পিতা-মাতার নামসহ) অঙ্গীকারনামা দিয়েছি। মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড আমাদের গাফিলতির বিষয়টি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সেইসঙ্গে আজ শনিবারের মধ্যে প্রবেশপত্রগুলো আমরা পেয়ে যাব বলে আশা করছি। তাই ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে পারবেন বলে মন্তব্য করেন তিনি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে গাফিলতির কথা স্বীকার করে এই মাদ্রাসা সুপার বলেন, মাদ্রাসাটি ননএমপিও হওয়ায় অধিকাংশ শিক্ষক পরিবারের খরচ মেটাতে নানা ধরনের কর্মে ব্যস্ত থাকেন। তার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের মধ্যে কেউ কেউ রং মিস্ত্রি এমনকি অটোচালকও রয়েছেন। তার এই প্রতিষ্ঠানটি সরকারি এমপিওভুক্ত হলে ভালো ফলাফলের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি এ ধরনের ভুল হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।