ঘুরে দাঁড়াতে গরু পুষছে চরবাসী

প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আব্দুল কাফি সরকার, গাইবান্ধা

নদীবেষ্টিত গাইবান্ধায় জেগে ওঠেছে শতাধিক বালুচর। এসব চরের অধিকাংশ পরিবার দরিদ্রসীমার নিচে বসবাস। এ দরিদ্রতা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে নানা ফসল ফলানোসহ প্রত্যেক বাড়িতে পুষছেন দেশি জাতের গরু। এ থেকে সুদিনের ছোঁয়া লেগেছে চরবাসীর ঘরে ঘরে। সম্প্রতি গাইবান্ধার এরেন্ডাবাড়ী, খাটিয়ামারী, রসুলপুর, কড়াইবাড়ী, কুন্দেরপাড়া, কালুরপাড়া ও তারাপুরসহ আরও বেশ কিছু চরাঞ্চলে গিয়ে দেখা গেছে, গরু-বাছুরের ঝাঁক। বালুর পতিত জমিতে প্রাকৃতিকভাবে গঁজিয়ে ওঠা ঘাস গরুকে খাওয়ানোর জন্য ব্যস্ত সময় পার করছে গৃহস্থ-গৃহস্থালীরা। বিশেষ করে আসন্ন কোরবানি ঈদকে ঘিরে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে তারা। জানা যায়, গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র-তিস্তা-যমুনা নদীর বুকে জেগে ওঠা বালুচরগলোতে বাদাম, মিষ্টি কুমড়া, মরিচ, ভুট্টা, মিষ্টিআলুসহ নানা ধরনের ফসল ফলানো হচ্ছে। একই সঙ্গে গরু-বাছুর পালনেও ঝুঁকে পড়েছে তারা। বাড়ি বাড়ি পুষছেন দেশি জাতের গরু। চরাঞ্চলে রয়েছে অসংখ্য কাশবনসহ পরিত্যক্ত ভূমি। এ ভূমিগুলোতে গরুকে ঘাস-লতা-পাতা খাওয়াতে পারেন তারা। এতে অল্প খরচে প্রতি বছর গরু বিক্রি করে লাখ টাকা আয় করছেন এখানকার মানুষরা। এমতাবস্থায়, চরাঞ্চলের প্রত্যেকটি বাড়িতে দৃশ্যমান ৫ থেকে ২০টি গরু-বাছুর। কড়াইবাড়ী ও কুন্দেরপাড়া চরের বাসিন্দা নবির হোসেন, মরিয়ম বেগম ও আজগর আলী জানান, কয়েক বছর ধরে দেশি জাতের গরু লালন-পালন কর আসছেন। গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ কমকর্তা ডা. মো. মাছুদার রহমান সরকার বলেন, চরাঞ্চলের মানুষদের গরু পালনে আগ্রহ বাড়ছে। কারণ এখানে গরুর জন্য অতিরিক্ত খাদ্য কিনতে হয়। প্রাকৃতিকভাবে গেজে ওঠা ঘাস খেয়ে গরু বড় হয়। যার ফলে তারা লাভবান হচ্ছেন। বর্তমানে গরু পালন করে সুদিনের ছোঁয়া লেগেছে চরবাসীর জীবনে।