ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তিলক্ষেতে মাটি খেকোদের রাস্তা

তিলক্ষেতে মাটি খেকোদের রাস্তা

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে তিলক্ষেত নষ্ট করে রাস্তা নির্মাণের পর রাতের আঁধারে ড্রামট্রাক দিয়ে দেদারছে লুটে নিচ্ছে ফসলি মাটি। তিল নষ্টে বাধা দেয়ায় মাটি খেকোরা কেয়ারটেকারকে খুন-জখমের হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দরবাড়িয়া এলাকায় হাজী মো. আলী হোসেনের তিলক্ষেত নষ্ট করে বংশাই ও ঘাটাখালি নদীর মিলিত স্থানের ফসলি মাটি লুট করে নিয়ে যাচ্ছে মাটি খেকোরা। পাশে বামনাবহ এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে সোহেল মিয়ার নেতৃত্বে আতিকুর রহমানসহ কয়েকজন মাটি খেকোরা রাতের আঁধারে ভেকু ও ড্রামট্রাক দিয়ে দেদারছে কৃষি জমির মাটি কেটে নিচ্ছে। খবর পেয়ে হাজী মো. আলী হোসেনের কেয়ারটেকার সাইফুল ইসলাম সেখানে গিয়ে ওই মাটি খেকোদের তিলক্ষেত নষ্ট থেকে বিরত থাকতে বলেন। তারপরও জোরপূর্বক তাদের তিলক্ষেত নষ্ট করে ড্রামট্রাক চালালে বাধা দেন ওই কেয়ারটেকার। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে মাটি কাটার কাজে বাধা দিলে কেয়ারটেকারকে খুন-জখমের হুমকি দেয় মাটি খেকোরা। এ ঘটনায় সাইফুল ইসলাম কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। ক্ষতিগ্রস্ত তিল ক্ষেতের মালিক হাজী মো. আলী হোসেন জানান, ওই মাটি খেকোরা প্রতি বছর মাটি লুট করতে আমার কোনো না কোনো ফসল নষ্ট করে রাস্তা বানায়। গত বছরও ধানক্ষেত নষ্ট করে তারা রাস্তা বানালে প্রশাসনের সহযোগিতায় তা বন্ধ করা হয়। এবছর আবার তিলক্ষেত নষ্ট করে রাস্তা বানালে তার কেয়ারকেটারকে খুন-জখমের হুমকি দেয় মাটি খেকোরা। এখন প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

অভিযুক্ত মাটি ব্যবসায়ী সোহেল মিয়া জানান, পুলিশ এসে বারণ করায় বর্তমানে মাটি কাটা বন্ধ রয়েছে। তবে কাউকে খুন-জখমের হুমকি দেয়া হয়নি।

কালিয়াকৈর থানার তদন্ত ওসি আবুল বাশার জানান, এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের হলে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তারপরও যদি রাতের আঁধারে মাটি কাটে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত