নওগাঁয় মধ্যস্থতাকারীদের বিড়ম্বনায় বিআরটিএ’র অনলাইন সেবা

প্রকাশ : ০৩ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  আব্বাস আলী, নওগাঁ

নওগাঁয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে চালু হয়েছে অনলাইন মাধ্যম। এতে কিছুটা সেবার মান বেড়েছে। তারপরও যেন ভোগান্তির শেষ নেই। মানুষ ভোগান্তি থেকে রক্ষা পেতে এখনো মধ্যস্থতাকারী (দালাল) এর স্মরণাপন্ন হচ্ছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দালালরাও মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তার একটি অংশ চলে যাচ্ছে অফিসের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পকেটে। সেবা প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনলাইনে যদিও ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করা যায়। তবে লিখিত, মৌখিক ও ফিল্ড টেস্টের ঝামেলা এড়াতে দালালের স্মরণাপন্ন হতে হয়। সেখানে ফেল (অকৃতকার্য) হলে আবারও অতিরিক্ত টাকা খরচ ও সময় লাগবে। মানুষ এখনো অনলাইন বুঝে উঠেনি। তারপরও সুবিধা পাচ্ছে। শুধু দালালমুক্ত না অফিস যেন স্বচ্ছতার সাথে সেবা দেয় সেই দাবিও তাদের। নওগাঁ শহরের জগৎসিংহপুর মহল্লার শাহজান মন্ডল বলেন, বেসরকারি কোম্পানির পেশাদার ট্রাক চালক। ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছি। গত দুই বছর আগে কাগজপত্রের মেয়াদ শেষ হয়েছে। রাস্তায় বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। এখন ভারী যানের জন্য কাগজপত্র সম্পন্ন করার কার্যক্রম করছি। এজন্য দ্রুত লাইসেন্স পেতে ১০ হাজার টাকায় দালাল ধরেছি। সব সময় বাড়ি আসতে পারি না। টাকা একটু বেশি দিতে হচ্ছে কিন্তু ঘুরতে বা হয়রানি যেন না হতে হয়। নওগাঁ সার্কেল বিআরটিএ সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ) মোহাম্মদ হারুন উর রশীদ বলেন, এখন মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ছে। বর্তমানে ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য সব অনলাইনে হওয়ায় আমাদের জন্য সুবিধা হয়েছে। অফিসে চাপও কমেছে।

একই দিনে ফ্রিঙ্গার এবং পরীক্ষা হচ্ছে। আবেদনের দুই মাসের মধ্যে ড্রাইভিং প্রক্রিয়া শেষ হয়ে প্রার্থী তার স্মার্ট কার্ড ডাকযোগে হাতে পেয়ে যাচ্ছে। সবাই এখনো অনলাইন বুঝে ওঠেনি। আগামী দুই বছরে ভোগান্তি আরো কমে যাবে। মধ্যস্থতাকারী (দালাল) বিষয়ে তিনি বলেন, তবে তৃতীয়পক্ষের সহযোগিতা নিতে গিয়ে অনেকেই বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে। অফিস দালালমুক্ত এবং কারো কোনো সম্পৃক্ততা নাই বলে দাবি করেন তিনি। তবে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় পাস করতে হলে দালাল না ধরলে কোনো কাজ হয় না সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না তিনি।