ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গারো পাহাড়ে সাম্মাম ফলে ঝুঁকছেন কৃষক

গারো পাহাড়ে সাম্মাম ফলে ঝুঁকছেন কৃষক

মরুভূমি বা আরব দেশের ফল হিসেবে খ্যাত সাম্মাম বা রক মেলন ফল এবার বাংলাদেশের গারো পাহাড়ে চাষ হচ্ছে। শেরপুরের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের এক তরুণ উদ্যোক্তা পরীক্ষামূলকভাবে এ ফল চাষে সফল হয়ে এবার বাণিজ্যিকভাবে সাম্মাম চাষে আগ্রহী হয়েছেন। জেলার কৃষি বিভাগ বলছে, মরুভূমির এ ফল চাষ সম্প্রতি বাংলাদেশে শুরু হলেও শেরপুরে এটি প্রথম। তবে ফলন দেখে মনে করা হচ্ছে উচ্চ মূল্যের এ সাম্মাম চাষ গারো পাহাড়ের পতিত জমিতে চাষাবাদে লাভবান ও আগ্রহী করবে স্থানীয় কৃষকদের। কুমড়া গাছের মতো লতানো গাছ। গাছের ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে গোল গোল ফল। প্রায় প্রতিটি গাছেই ভরপুর ফল ও ফুল। বাঁশের বাতা আর নেট ব্যাগ বা জালের ফাঁকে ফাঁকে পুরো ক্ষেত যেনো ফলে ভরে রয়েছে। সাম্মাম ফল খুবই পুষ্টিসমৃদ্ধ। শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতি উপজেলার নককুড়া ইউনিয়নের গারো পাহাড়ের সীমান্তঘেঁষা গ্রাম গোমরা। এ গ্রামের তরুনণ উদ্যোক্তা মো. আনোয়ার হোসেন প্রথমে ইউটিউবে দেখেন সাম্মাম ফল খুবই উচ্চমূল্যের একটি ফল। তিনি এ ফল চাষে পরীক্ষামূলকভাবে স্থানীয় বীজ ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বীজ সংগ্রহ করে চলতি মাসের ফেব্রুয়ারি মাসে তার পৈত্রিক ১০ শতক জমিতে ওই বীজ রোপণ করেন। মাত্র ৩০ দিনের মাথায় গাছে ফুল আসতে শুরু করে। এরপর পরাগায়নের আরো ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যেই ফুল থেকে ফল এবং সর্বশেষ এপ্রিল মাসের শেষদিকে সে ফল পাকতে শুরু করেছে। অর্থাৎ মাত্র তিন মাসের মধ্যে এ ফল খাওয়া ও বাজারে বিক্রি করার উপযোগী হয়েছে। ফলনও হয়েছে বেশ। আনোয়ারের এ ফল চাষে এ পর্যন্ত খরচ করেছে মাত্র ২০ হাজার টাকা। ফল বিক্রি করার টার্গেট রয়েছে দের থেকে দুই লাখ টাকা। প্রতিটি ফল প্রায় দের থেকে দুই কেজি ওজনের সাইজ হয়েছে। পাইকারি বাজার মূল ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি হিসেবে প্রতিটা ফল প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি করা যাবে বলে তার ধারনা। ঝিনাইগাতি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. হুমায়ুন দিলদার জানায়, বর্তমানে পুষ্টিসমৃদ্ধ ফলমূল এবং আধুনিক চাষাবাদে তরুণরা এগিয়ে আসছে। মরুভূমির এ ফল চাষে স্থানীয় চাষিদের আশার আলো দেখছেন তেমনি উচ্চ লাভজনক এ চাষে স্থানীয় চাষিদের মনে ব্যাপক আগ্রহ স্মৃষ্টি হবে বলে জানায় এ কৃষি কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত