রামগঞ্জে কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনেসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমিতে ২৫টি ইটভাটায় সরকারি বিধি লঙ্ঘন করে কাঠ পুড়িয়ে ইট বানানো হচ্ছে। সরেজমিন দেখা গেছে, রামগঞ্জ উপজেলার নাগ-রাজারামপুর গ্রামে কেথুড়ী বাজার এলাকায় পানিয়ালা সড়কের পাশে ফসলি জমিতে ইটভাটার সভাপতি ছানা উল্যা পাটোয়ারির মেসার্স ছানাউল্যা ম্যানুফ্যাকচার ব্রিকসসহ কয়েকটি ইটভাটা দীর্ঘদিন ধরে বীরদর্পে ইট পোড়ানো মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে। এ ইট ভাটাগুলো ফসলি জমিতে ও সড়কের পাশে থাকায় শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণের চলাচলে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটছে। ধুলোবালির কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন ইট ভাটা সংলগ্ন এলাকার সাধারণ মানুষ। ইটভাটার কালো ধোঁয়া ও ছাই বাসাবাড়িতে ছড়িয়ে পড়ছে। বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় একাধিকবার সংবাদ প্রকাশের পরও পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করে আসছে। ইটভাটার মালিকরা সরকারি আইনের তোয়াক্কা না করে ভাটাগুলোতে কয়লার পরিবর্তে কাঠ, টায়ার, তেলের গাদ, বোতামের গুঁড়া, রাসায়নিক বর্জ্য ও প্লাস্টিক ভাটায় ব্যবহার করে আসছে। ইটভাটার পাশে বসবাসকারী আবদুর রহিম, সাহেরা খাতুন, জীবন কৃষ্ণ জানান, ইট পোড়ানোর সময় দুর্গন্ধ ও বাতাসে ধুলো কণা ছড়ানোর ফলে বিভিন্ন রোগে লোকজন আক্রান্ত হচ্ছে।