ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

যশোরের কেশবপুর উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা সুনীল মন্ডলের বিরুদ্ধে ভিজিএফ ও ভিডব্লিউবি’র চাল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ উপজেলায় সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত ২৯২.৮৬ মেট্রিকটন চালে বস্তা প্রতি এক কেজি করে কম দিয়েছেন। যা সরকারি মূল্য ৪ লাখ ২৯ হাজার ৫২৮ টাকা। এছাড়াও তিনি বস্তাপ্রতি ১০ টাকা হারে মোট ৯৭ হাজার ৬২০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, সরকারের বরাদ্দকৃত চাল খাদ্য অধিদপ্তর উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে ৩০ কেজি ৩শ’ গ্রাম করে বস্তায় সরবরাহ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা সরকারের এ নির্দেশনা মানেন না। তিনি ভিডব্লিউবি কর্মসূচি থেকে বস্তায় ১ কেজি করে মোট ২ হাজার ৫৮৩ কেজি চাল কম দিয়ে যাচ্ছেন। যার সরকারি মূল্য প্রতিমাসে ১ লাখ ১৩ হাজার ৬৫২ টাকা। অনুরূপভাবে ঈদুল ফিতরের বরাদ্দকৃত ভিজিএফ কর্মসূচির ২১৫ দশমিক ৩৭০ মেট্রিকটন চালের মধ্যে প্রতি বস্তায় ১ কেজি করে কম করে ৭ হাজার ১৭৯ কেজি চাল কম দিয়েছেন। সাতবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার জাকারিয়া বলেন, খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহকৃত প্রতি বস্তায় ২৮ থেকে ২৯ কেজির বেশি চাল পাওয়া যায় না। চাল কম দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে গুদাম কর্মকর্তা জানান, ৬ মাস আগে চাল ওজন দিয়ে বস্তাবন্দি করে রাখা হয়। যে কারণে একটু কম হতে পারে।

পাঁজিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দীন জানান, আমি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে ভিডব্লিউবি ও ভিজিএফ’র চাল ওজনে কম পেয়ে আসছি।

সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত বলেন, সাধারণত বস্তায় ৫শ’ গ্রামের বেশি চাল কম থাকে। আমাদের ওজন করে চাল বুঝে দেয়া হয় না। ৩০ কেজির বস্তা গুনে চাল দেয়া হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত