ঢাকা ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চুরির অপবাদে যুবককে মারধর

ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় মোবাইল ফোন চুরির মিথ্যা অপবাদে শান্তি বৈদ্য নামে এক যুবককে স্থানীয় সালিশের মাধ্যমে হয়রানি ও বলপূর্বক জরিমানা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য ও স্থানীয় প্রভাবশালীদরে বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী যুবকের বাবা উপানন্দ বৈদ্য স্থানীয় ইউপি সদস্য দুলাল বাড়ৈসহ পাঁচজনকে আসামি করে কোটালীপাড়া থানায় মামলা করেছেন।

ভুক্তভোগীর পরিবারের অভিযোগ, কিছুদিন আগে পার্শ্ববর্তী বাড়ির প্রধান শিক্ষক অনিতা জয়ধরের ঘর থেকে কিছু নগদ টাকা ও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনসেটটি হারিয়ে যায়। এ বিষয়ে তারা কিছুই না জানলেও পূর্ববিরোধের জেরে গ্রামের একটি প্রভাবশালী মহল তাদের কলেজ পড়ুয়া ছেলের ওপর চুরির মিথ্যা অভিযোগ এনে গ্রাম্য সালিশ পরিচালনা করে। ওই সালিশে ইউপি সদস্য দুলাল বাড়ৈর নেতৃত্বে দুলাল হালদার, মনোরঞ্জন গাইন, বিপুল হালদার, মনিমোহন বাড়ৈসহ অনেকে ছেলেকে চুরির দায় স্বীকারের চেষ্টা করে। কিন্তু তাদের ছেলে মানতে না চাইলে এক পর্যায়ে অন্যায়ভাবে তাকে মারধর করে ৬২ হাজার টাকা জরিমানা দিতে বাধ্য করা হয়।

এই বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য দুলাল বাড়ৈ জরিমানার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ওই ছেলেটা ফ্রি ফায়ারে আসক্ত ছিল, এই গেইম খেলতে যে টাকার দরকার হতো ওটা ম্যানেজ করতে সে টাকা ও মোবাইল ফোন চুরি করতে পারে। এ ছাড়া সে সালিশে স্বীকার করেছে চুরির বিষয়টি। তাই শিক্ষিকার ক্ষতিপূরণ বাবদ উপস্থিত সবার মতামতে তার কাছ থেকে ৬২ হাজার টাকা নেয়া হয়। কিন্তু এখন শুনলাম মোবাইল ফোনটি অন্য একজনের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে। তবে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করব।

কোটালীপাড়া থানার ওসি মো. জিল্লুর রহমান বলেন, মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ দিয়ে একজনকে জরিমানা করা হয়েছিল। অতঃপর মোবাইলটি অন্য একজনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী যুবকের পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত